নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন আ. লীগের সমাবেশে হামলা

বিডিনিউজ ১০, আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ চলাকালীন আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বিকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেখ হাসিনার সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তার বিরোধিতায় স্লোগান দিচ্ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে বিএনপির সমাবেশ থেকে স্লোগান উঠলে তার প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তখন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিএনপির সমাবেশের একদল চড়াও হয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর।

এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে নিউইয়র্ক পুলিশ এসে দুজনকে আটক করে। পরে মুচলেকা নিয়ে ওই দুই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশি বেষ্টনির মধ্যে আলাদা আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে উভয় পক্ষ।

আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, বিএনপির ব্যানারে কর্মসূচি থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায়। নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির ব্যানারে থাকা ছাত্রশিবিরের কর্মীরা ইট ছোঁড়ে। এতে আওয়ামী লীগের দুজন আহত হন।’

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির অন্যতম সদস্য দেলোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের কেউ বিএনপির লোক নন। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের কাউকেই আমি চিনি না।’

হামলার দায়ভার বিএনপি নেবে না বলে জানিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘অতি-উৎসাহীরা এমন অপকর্ম চালিয়েছে। এর দায় বিএনপি নিতে পারে না। কারণ আমরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছি।’

বিএনপির কর্মসূচিতে ছিলেন দেলোয়ার হোসেন, গিয়াস আহমেদ, এম এ বাতিন, জাকির এইচ চৌধুরী, মিল্টন ভূইয়া, আবু তাহের, গোলাম ফারুক শাহীন, মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাইদুর রহমান সাঈদ, জসীমউদ্দিন (ভিপি), আনোয়ার হোসেন খোকন, কাওসার আহমেদ, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, রুহুল আমিন নাসির, পারভেজ সাজ্জাদ, মোহাম্মদ জে হোসেন, মাজহারুল ইসলাম জনি।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে ছিলেন নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা প্রদীপ কর, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, মামনুনুল হক চৌধুরী, রেজাউল করিম রেজনু, শেখ জামাল, সেবুল মিয়া, ইফজাল চৌধুরী, খন্দকার মনসুর, নিজাম চৌধুরী, শাহ বখতিয়ার, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, শরিফ কামরুণ হিরা, মমতাজ শাহানাজ, রহিমুজ্জামার সুমন, জামাল হোসেন, আবুল হুসেন, আবু তাহের, ইউসুফ চৌধুরী, ইকবাল ইউসুফ, সমীরুল ইসলাম বাবলু, শিব্বির আহমেদ শেখ সেলিম, জি আই রাসেল, মাহমুদুন্নবী বাকী, এম ফজলুল রহমান, নাফিজ জুয়েল, দারা বিল্লাহ, তুহিন, মনির চৌধুরী।