ভোলা সংবাদদাতা: এক গৃহবধূকে ধর্ষণকারী চারজনকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়ার পর গৃহবধূকে আবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ভোলার মনপুরায় নির্জন চরে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে মেডিকেল পরীক্ষা জন্য ওই নারীকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে স্প্রিডবোটে করে ওই গৃহবধূ তার সন্তানকে নিয়ে মনপুরা উপজেলায় যাচ্ছিলেন। স্প্রিডবোটটি কিছুদূর যাওয়ার পর চরের মধ্যে জোর করে নামিয়ে তাকে ধর্ষণ করে চার পুরুষ যাত্রী। স্পিডবোটের ড্রাইভার রিয়াজ বিষয়টি স্পিডবোটের মালিক সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুলকে জানালে তিনি অপর একটি স্পিডবোট নিয়ে চরপিয়ালে আসেন।
এ সময় তিনি ওই চার ধর্ষককে মারধর করে তাদের কাছে থাকা ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এরপর নজরুল নিজে ওই গৃহবধূকে চরের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি চরের বাতাইন্নারা (মহিষের রাখালরা) দেখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি (চেয়ারম্যান) চরপিয়াল থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মনপুরায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে মনপুরা থানায় ওই গৃহবধূ মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম (৩০), বেলাল পাটোয়ারী (৩৫), মো. রাসেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২) এবং কিরণকে (২৬) আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।
ভিকটিম জানান, নজরুল তাকে ধর্ষণের সময় তা ভিডিও করে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। কাউকে কিছু বললে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তিনি বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
তিনি আরও জানান, স্পিডবোটটি জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। রোববার দুপুরে মেডিকেল পরীক্ষা জন্য ওই নারীকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।