,

ধর্মীয় উৎসবকে কল্যাণের কাজে লাগাতে হবে : রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্মীয় উৎসবগুলোকে শুধু আনুষ্ঠানিকতা ও আনন্দ উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর আবেদনকে কল্যাণকামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে হবে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

আবদুল হামিদ বলেন, শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সমাজে থাকা কুসংস্কার, অন্যায়-অবিচার দূর করতে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। মানবিক সমাজ গঠনে পারস্পরিক সদ্ভাব ও শ্রদ্ধাবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সব ধর্মেই পারিবারিক বন্ধনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পারিবারিক কাঠামোর বিবর্তন, ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ ও আধুনিকায়নের কারণে মানুষের কর্মব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে পারিবারিক বন্ধন ক্রমান্বয়ে শিথিল হচ্ছে, ঘটছে বিভিন্ন সহিংস ঘটনা।

তিনি বলেন, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও পারিবারিক বন্ধনের শিথিলতা এর জন্য অনেকাংশেই দায়ী। শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এ অবস্থা মোটেই কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, এ দেশে সব ধর্মের লোকেরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ বজায় রেখে নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তাই আমাদের সুমহান ঐতিহ্য।

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ ঐতিহ্য ধরে রেখে জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে তা কাজে লাগানোর জন্য দেশের সব ধর্মাবলম্বীর প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এতে অংশ নেন- খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ, রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ।

এই বিভাগের আরও খবর