নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ রোববার। উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। সে হিসাবে সংসদের তিনশ’ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে আজ। এসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট এক হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী।‘’
দেশজুড়ে ৪২ হাজার ২৪টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে তা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। দুই লাখ ৬০ হাজার ৮৫৮ ভোট কক্ষে ব্যালটে ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হবে ভোটগণনা।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪১ এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন। এছাড়া ট্রান্সজেন্ডার রয়েছেন ৮৪৯ জন।
তবে এবারের নির্বাচনে ভোট হচ্ছে ২৯৯ আসনে। সে হিসাবে এসব আসনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০জন। বাকি ৮৪৮ জন ট্রান্সজেন্ডার।
নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণের কাজে ৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও এক লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী স্ট্যান্ডবাই থাকবেন। মাঠে থাকছেন ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক, যারা যেকোনো অপরাধে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে পারবেন।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ভোট কেন্দ্র, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ভবনের নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচনে সর্বাধিকসংখ্যক প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। উৎসবমুখর ভোট হবে এটাই আশা।’ নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’
যেকোন মূল্যে এবারের নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘এজন্য ইসির পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে এসে নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে অবাধে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য মাঠ পর্যায়ে পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড মিলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের স্বার্থে প্রতিটি নির্বাচনি এলাকার জন্য ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এসব কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটের আপডেট জানতে অ্যাপস
ভোটের সবশেষ আপডেট জানার জন্য এবার ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি’ অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভোটের সর্বশেষ পরিস্থিতির সঠিক তথ্য জনগণ যে কোনো জায়গা থেকে সহজে জানতে পারবে। এছাড়াও ভোটার তার ভোটার নম্বর ও কেন্দ্রের নাম এবং অবস্থান জানতে পারবে। গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে যে কেউ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
নির্বাচনে ভোটে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ৬৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে দু’জন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন জেলা প্রশাসক।
মোট প্রার্থী ১,৯৭০
কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬, জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ১৩৫, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৬৬, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনে নারী প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ জন। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ অন্যান্য মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭৯ জন।
মোট ভোটকেন্দ্র ৪২,০২৪
২৯৯ সংসদীয় আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ২৪টি। এসব কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। সবশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯। এছাড়া সারাদেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন।
এবারই প্রথমবারের মতো ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে। শুধু দুর্গম অঞ্চলের ২ হাজার ৯৬৪টি কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হয়েছে ভোটের আগের দিন।
পর্যবেক্ষক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন স্থানীয় ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষক। এছাড়া দুই শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকছেন।
বুধবার বিকেল পর্যন্ত ১৮৬ জন পর্যবেক্ষক-সাংবাদিককে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, যাদের মধ্যে ১২৭ জন পর্যবেক্ষক আর ৫৯ জন গণমাধ্যমকর্মী। আরও কিছু বিদেশি পর্যবেক্ষকের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘সংখ্যাটা সব মিলিয়ে দুই শতাধিক হবে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুতি
নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা দেয়ার জন্য ৩ জানুয়ারি থেকে ৬২টি জেলায় সেনাবাহিনী নিয়োজিত হয়েছে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।
সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় ৪টি উপজেলায় কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারের সহায়তায় দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে।
নির্বাচনে এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন পুলিশ ও র্যাব সদস্য আইন-শৃংখলা রক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে।
২৯ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে ৪৮৭টি বেজ ক্যাম্পে ১ হাজার ১৫৫ প্লাটুন বিজিবি নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সারাদেশে নাশকতা এড়াতে বিস্ফোরক দ্রব্যের ওপর বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত বিজিবি ডগ স্কোয়াড দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। একইসঙ্গে মাঠে কাজ করছে বিজিবি’র বিশেষায়িত ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন টিম (র্যাট)।
বিজিবি’র কুইক রেসপন্স ফোর্সও প্রস্তুত রয়েছে, যারা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্তে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম।
নির্বাচনে নিরাপত্তা রক্ষায় ৫ লাখ ৫ হাজার ৭৮৮ জন সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ২৯ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছে এবং ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২ লাখ ১৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে ৪ লাখ ৭২ হাজার সদস্য। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৭ জনের নিরাপত্তা সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হচ্ছে।
কমিশন জানায়, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অস্ত্রধারী দু’জন পুলিশ, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী একজন আনসার, ১০ জন আনসার, লাঠি হাতে একজন বা দু’জন গ্রামপুলিশ সদস্যসহ ১৫ থেকে ১৬ জনের একটি দল সাধারণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবে। তবে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের ক্ষেত্রে অস্ত্রসহ ৩ জন পুলিশসহ ১৬ থেকে ১৭ জনের দল থাকবে।
ফায়ার সার্ভিসের মনিটরিং সেল
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আজকের ভোটগ্রহণ সামনে রেখে কেন্দ্রীয় মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন সেল গঠন করেছে। নির্বাচনকালীন সহিংসতায় অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এই মনিটরিং সেল কাজ করবে।
যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ
নির্বাচন উপলক্ষে ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে ইসির স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেল এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত।
এছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত কতিপয় যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ট্যাক্সি ক্যাব, পিক আপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক।
নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে যেসব যানবাহনে
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক; জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন; আত্মীয়-স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বা আত্মীয়-স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণপ্রদর্শন সাপেক্ষে) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো যানবাহন; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য একটি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন) রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি থাকবে।
এছাড়া সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান; নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটর সাইকেল চলাচলের অনুমতি প্রদান; জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ছাড়াও আন্তঃজেলা বা মহানগর থেকে বাইরে বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা ওইরূপ সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।