,

দেশে ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন

জেলা প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ: বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, আমাদের বিচারালয় আছে, অবকাঠামো আছে, আইনজীবীদের বসারও জায়গা আছে, কিন্তু যারা বিচার প্রার্থী, তাদের বসার জায়গা নেই, যাদের জন্য এই বিচার ব্যবস্থা।

সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলে, সারাদেশে বিচার প্রার্থীরা আদালত প্রাঙ্গণে এসে কোথায়ও স্বস্তিতে বসবে সেই ব্যবস্থা নেই। আর এই আদালত ভবন, বিচার প্রশাসন, আইনজীবীরা সবাই তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকে।

লাখ লাখ লোক দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আদালতে আসেন। তারা যাতে স্বস্তিতে বসতে পারেন, একটু পানি খেতে পারেন, টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন এমন কোনো ব্যবস্থা নেই।

তিনি বলেন, আমি বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করি। তিনি তৎক্ষণাৎ ৬৪ জেলায় এই ন্যায়কুঞ্জের জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছেন।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে আমাদের মামলা নিষ্পত্তির কাজ অনেকটাই ধীরে চলছিল। তবে গত বছর মামলা নিষ্পত্তির হার অনেকটাই বেড়ে যায়। আমরা যদি মামলা নিষ্পত্তির হার ১২৫ থেকে ১৩০ ভাগ করতে পারি তাহলে আগামী ৫ থেকে ৬ বছরে মামলার জট সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। এতে করে বিচারপ্রার্থীরা অনেকটা সুফল পাবে।

এই বিচারপতি বলেন, আমাদের কিছু জনবল সংকটও আছে। গত বছর আমরা ১০২ জন নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছি। এ বছর ১০০ জনের মত কর্মকর্তা নেওয়া হবে। তাহলে আমাদের জনবলের ঘাটতিটা পূরণ হয়ে যাবে।”

ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বল্প সময় ও খরচে মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় তার ব্যবস্থা করা।

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, জেলা ও দায়রা জজ জয়শ্রী সমাদ্দার, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী একটি বকুল গাছ ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি রইস উদ্দিন একটি আমলকি গাছের চারা রোপণ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর