নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ডিজিটাল হেলথ কার্ড বা স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র চালু করা হয়েছে। কার্ডটি সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে রোগীর পূর্ব তথ্য দেখে চিকিৎসক সহজেই চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবায় ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড প্রস্তুত দেশের মানুষের জন্য একটি মহৎ ও যুগান্তকারী উদ্যোগ। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এমন হেলথ আইডি কার্ডের প্রচলন রয়েছে। এই কার্ড বিতরণের মাধ্যমে বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যসেবায় আরেকটি মাইলফলক উন্মোচিত হল। এই কার্ডের মাধ্যমে এখন দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি সহজেই স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাবেন।
হেলথ আইডি কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হেলথ আইডি কার্ডটিতে একজন মানুষের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যসমূহ সংযুক্ত থাকবে। কম্পিউটারের সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো একজন চিকিৎসক দ্রুত দেখতে পাবেন। কার্ডটি সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে রোগীর পূর্ব তথ্য দেখে চিকিৎসক সহজেই চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, দেশের আনাচে-কানাচে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করায় দেশের প্রান্তিক মানুষ আজ নিজ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। করোনাতেও এই কমিউনিটি ক্লিনিক নিবিড় পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে এখন ২৮ প্রকারের জরুরি ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
প্রসঙ্গত, দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন এলাকার থানাভিত্তিক প্রতিটি সদস্যের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড তৈরি ও বিতরণ করা হবে। দেশের জনগণ হেলথ আইডি কার্ড ব্যবহার করে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মুদাচ্ছের আলী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর সহদেব চন্দ্র রাজবংশী এবং কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তুলসী রঞ্জন সাহা।