জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তপ্ত আবহাওয়ার দাপটে দিনে কাজ করা কঠিন হয়ে গেছে। চলতি মৌসুমের এ দাবদাহ শেষ হতেই কালবৈশাখী আঘাত হানবে দেশের একাধিক স্থানে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ স্থানে বয়ে যাওয়া দাবদাহ আরও দুদিন থাকতে পারে। এরপর কমতে পারে তাপের তীব্রতা। তবে এ দাবদাহ শেষ হতেই কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানবে। তবে বৃষ্টি শেষ হলে আবার তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত এ সময়ে তাপমাত্রা একটু বেশিই থাকে।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ বা ২৮ মার্চ থেকে দেশের সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানবে। এ ঝড় ধীরে ধীরে ঢাকাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের দিকে যাবে। উত্তরে কালবৈশাখীর আঘাত হানার সম্ভাবনা কম রয়েছে। ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে কালবৈশাখী আঘাত হানতে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে জানায়, দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় জানায়, তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে পাঁচ দিনের বর্ধিত দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক ছিল পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার। আর সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৩৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ২৪ ঘণ্টায় দাবদাহ বয়ে যাওয়া এলাকার মধ্যে রয়েছে, ঢাকা (৩৭.৭), টাঙ্গাইল (৩৬.৪), ফরিদপুর (৩৭.৫), গোপালগঞ্জ (৩৬.৫), চট্টগ্রাম (৩৮.৭), সন্দ্বীপ (৩৭.৯), রাঙ্গামাটি (৩৮.৫), কুমিল্লা (৩৬.৯), চাঁদপুর (৩৬.৭), মাইজদীকোর্ট (৩৬.৩), ফেনী (৩৮.৫), হাতিয়া (৩৬.৬), কক্সবাজার (৩৬.৭), কুতুবদিয়া (৩৮.৬), সিলেট (৩৬.৪), শ্রীমঙ্গল (৩৬), রাজশাহী (৩৬.৮), ঈশ্বরদী (৩৭.২), খুলনা (৩৭.২), মংলা (৩৭), সাতক্ষীরা (৩৬.২), যশোর (৩৭.২), চুয়াডাঙ্গা (৩৬.৫), কুমারখালী (৩৭), বরিশাল (৩৬.৫), পটুয়াখালী (৩৭.৪), বরিশাল (৩৬.৫), খেপুপাড়া (৩৮), ভোলা (৩৬.৯)।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।