নিজস্ব প্রতিবেদক: টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর তাবলিগের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভি বিরোধীরা বিক্ষোভ করেছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় সাদবিরোধী কওমিপন্থী শুরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের আহমেদ ও সমমনা আলেমদের অনুসারীরা এই বিক্ষোভ করেন।
শনিবারের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা নিয়ে রোববার আড়াইটায় নয়াপল্টনে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মাওলানা জুবায়ের। এই সংবাদ সম্মেলন উপলক্ষে হোটেলের বাইরে দুপুরে থেকে তাবলিগ জামাতের সদস্যরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলন শেষ হতে হতে হাজার হাজার মুসল্লি জড়ো হয়ে যান।
এরপর নয়াপল্টনে হোটেল জাফরানের সামনে থেকে হাজার হাজার মুসল্লির মিছিল পল্টন মোড় দিয়ে, দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে মাওলানা সাদ, মাওলানা ওয়াসিফ ও মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদবিরোধী স্লোগান দেয়া হয়।
মিছিল শেষে সমাবেশে মোহাম্মপুরের জামিয়া রহমানিয়া এরাবিয়ার মুহাদ্দিস ও তাবলিগের সাথী মামুনুল হক বলেন, ওয়াসিফদের প্রশ্রয় দিয়ে প্রশাসন নিরীহ ছাত্রদের খুনীদের হাতে তুলে দিয়েছে। এর দায়-দায়িত্ব প্রশাসনকে বহন করতে হবে। ফরিদ উদ্দিন মাসউদের নেতৃত্বে ইজতেমা বানচালের চেষ্টা যদি অব্যাহত থাকে তবে আমরা প্রশাসনকে মানতে পারব না।’
বাধ্য করা হলে তারা টঙ্গী অভিমুখে যাত্রা করবেন বলেও জানান মামুনুল।
ভিক্টরিয়া পার্ক মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং তাবলিগের সাথী মাওলানা আমানুল হক বলেন, সোমবার সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি আমরা দিয়েছি। মুরব্বিদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।
মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার ঘোষণা দেন। জোবায়েরপন্থী মুসল্লিদের দাবি অনুযায়ী তারা ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক কাজের জন্য গত বুধবার রাত থেকে ইজতেমা ময়দানের ভেতরে অবস্থান নেন। তারা শুক্রবার সকালে ইজতেমা ময়দানে ঢোকার সব গেট বন্ধ করে দেয়। বাইরের সাধারণ মুসল্লিদেরও ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠে। শনিবার সাদপন্থী মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দফায় দফায় সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও কয়েক শ’ মানুষ আহত হন।
মাওলানা সাদের বিভিন্ন বক্তব্যকে কুরআন ও সুন্নাহের বিরোধী দাবি করে বাংলাদেশের তাবলিগের শুরা সদস্য জুবায়ের আহমেদ ও তার অনুসারীরা তার বিরোধিতা করে আসছেন।