,

ঢাকা ছাড়ল বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম দফায় ৪১০ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট বিজি-৩০০১।

রোববার সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফ্লাইটটি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানায়, ফ্লাইটটি বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট। বিমানটি জেদ্দায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে ঠিক সময়ে হজ ফ্লাইট শুরু হয়নি।

ঘোষণা অনুযায়ী এ বছর হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা ছিল ৩১ মে থেকে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত না থাকায় ৫ জুন ফ্লাইটের দিন ঠিক করা হয়।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হজ ফ্লাইট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিমান। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার হজ হতে পারে ৮ জুলাই। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৫৭ হাজার হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বাকি অর্ধেক করবে সৌদি রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ও ফ্লাই নাস।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, এবার বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমান প্রাক হজে ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা রুটে ৫১টি ও মদিনা রুটে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। যার মধ্যে চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ৯টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ২টি ও সিলেট-জেদ্দা রুটে ২টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ফিরতি হজের ক্ষেত্রে ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালিত হবে। জেদ্দা থেকে ৫১টি ও মদিনা থেকে ১৪টি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিমান ৬২ হাজার ৭৯৬ জন ও ২০১৯ সালে ৬৬ হাজার ২৮৬ হজযাত্রী পরিবহন করেছিল।

গত ৩ জুন আশকোনা হজ ক্যাম্পে চলতি বছরের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।

হজ ফ্লাইট কর্মসূচি দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। একটি প্রাক হজ ফ্লাইট এবং আরেকটি হজ ফিরতি ফ্লাইট।

প্রাক হজ ফ্লাইট শেষ হবে ৩ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১৪ জুলাই শুরু হয়ে ১৪ আগস্ট শেষ হবে।

স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর বিশ্বের ২০ থেকে ২৫ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি।

পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সৌদি সরকার এবার সারা বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দিচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে এ বছর সাড়ে ৫৭ হাজার মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার মুসল্লি।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ প্যাকেজটি হলো ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বনিম্নটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকার।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে জনপ্রতি ন্যূনতম খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিস অফ বাংলাদেশ (হাব)।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশি নাগরিকদের জন্য হজযাত্রা বন্ধ ছিল। এবার হজযাত্রা উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ বছর বাংলাদেশ থেকে যে ৫৭ হাজার ৫৮৫ হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন, তার ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ২৮ হাজার ৭৯৩ হজযাত্রী পরিবহন করবে বিমান। তবে সরকারি প্রতিনিধিসহ ২৯ হাজার হজযাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর