পাবনা প্রতিনিধি: সরকারি অফিসের গোপন কক্ষে জামালপুরের জেলা প্রশাসক ও এক নারীর আপত্তিকর অবস্থার ভিডিও ভাইরালের পর এবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সভাপতির কক্ষে খাস কামরার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এই বিশ্রাম কক্ষের অস্তিত্ব প্রকাশের পর বিক্ষোভ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ওই কক্ষটিকে যৌন হয়রানির কক্ষ অভিহিত করে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার দাবি জানান।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই কামরার খাটসহ আসবাবপত্র বের করে দেয়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সভাপতির অফিস কক্ষ সংলগ্ন একটি ছোট কক্ষের সন্ধান পান তারা। ওই কক্ষে খাট পেতে খাস কামরা তৈরি করা হয়েছে এবং এটি যৌন হয়রানির জন্য করা হয়েছে- এমন অভিযোগও করেন তারা। এ বিষয়টি পরে
পুরো ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
এ ব্যাপারে পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফ বলেন, ‘অফিস কক্ষে এ ধরনের খাস কামরার কী প্রয়োজন তা আমার বোধগম্য নয়। নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয় আছে কি না-তা অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে দেখার দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সভাপতি ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘নৈশ ও নিয়মিত ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার জন্যে ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের দীর্ঘসময় অবস্থান করার কারণে পূর্বের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিশ্রাম কক্ষ তৈরি করেন। যা শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্যেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।’
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ বিভিন্ন কাজের জন্যে কক্ষটি তৈরি করা হয়েছিল। অন্য কোনো কারণে নয়। একটি মহল উদ্দেশ্যমূলক ছাত্রদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে নোংরামি করার চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে পাবিপ্রবির প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস বলেন, ‘দুপুরে ভিসি স্যারের সঙ্গে ভর্তি বিষয়ে সভা করার সময় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে ওই বিভাগে যাই। ওই বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্যই ওই কক্ষ করা হয়েছে। পরে ওই কক্ষ থেকে আমরা খাটসহ আসবাবপত্র বের করে দিয়েছি। অন্য কিছু আছে কি না সে ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’