,

টুঙ্গিপাড়ায় ‘জমি কেনাবেচা’ নিয়ে দ্বন্দ; শঙ্কিত এলাকাবাসী

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১০ শতাংশ জমি কেনাবেচা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে।

যে কোন সময় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন ওই এলাকার স্থানীয়রা।

উপজেলার বালাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালাডাঙ্গা গ্রামের ফাতেমা বেগম টুঙ্গিপাড়া মৌজার ১৫১ খতিয়ানের ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করে পাটগাতী গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন। তাই ফাতেমার ছেলেরা জমির সামনে বসবাসরত সাফায়েত শেখের কাছে প্রতি শতাংশ ৬০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রির জন্য মৌখিক চুক্তি করেন। কিন্তু জমির বেশি দাম পেয়ে গোপনে ওই জমি সাফায়েত শেখের চাচাতো ভাই শের আলী শেখের কাছে বিক্রির জন্য দেন-দরবার করেন তারা। গোপনে জমি রেজিষ্ট্রারী করতে গেলে সাফায়েত শেখের বাঁধার মুখে বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তিনবার শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হলেও শের আলী হাজির হননি। কিন্তু গোপনে তারাও জমি কিনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

সাফায়েত শেখ বলেন, ‘জমিটি আমার বাড়ির সামনে। আমার কাছে জমি বিক্রি করবে বলে দীর্ঘদিন ধরে ফাতেমার ছেলে মাহফুজ কথা দিয়ে আসছে। তাই ওই জমিটি আমিই দেখাশোনা করি। কিন্তু হঠাৎ করে তারা সামান্য কিছু টাকার লোভে অন্যদের কাছে বিক্রি করবে। প্রয়োজনে আমি বেশি টাকা দিব। কিন্তু তারা জমি আমার কাছে বিক্রি করবে না।’

এ বিষয়ে শের আলীর বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। আর ফাতেমার ছেলে মাহফুজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকেও পাওয়া যায়নি।

টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জমি কেনাবেচা নিয়ে যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সাফায়েত শেখের ছেলে। তাই সেখানে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খরা বজায় রেখে মিমাংসা করতে বলা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর