,

টাঙ্গাইলে বাঁধের মাটি ইটভাটায়

জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বওলা গ্রামের নদীর বাঁধ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় মাটি কাটার কাজ। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে এসব মাটি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। ফলে বর্ষাকালে নদীপাড়ে ভাঙন শুরু হয়।

উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়েনের সাবেক ইউপি সদস্য ও ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন ও গিয়াস উদ্দিন নামের মাটি খেকুর নেতৃত্বে চলছে এ মাটি কাটা। এছাড়াও রাস্তার পূর্ব পাশে আ. মালেক ও সাইফুল ইসলামসহ একটি চক্র পুরো এলাকায় চালাচ্ছে এ কর্মযজ্ঞ।

সরেজমিনে দেখা যায়, যদুনাথপুর বওলা সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশত গজ দূর থেকে বংশাই নদীর বাঁধের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। সেখানে খনন যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি নেয়া হচ্ছে। বর্ষা এলেই ফসলি জমি বন্যার পানিতে পুরো এলাকাটি নিমজ্জিত হবে। কৃষি জমির মাঝ খান দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে গাড়ি চলাচলের জন্য। এরপর তা ডাম্প ট্রাকে করে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ধনবাড়ীর আকাশ নামের একটি ইট ভাটায়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘উপজেলায় অনেকগুলো ইটভাটা গড়ে ওঠায় কৃষিজীবিদের ফাঁদে ফেলে মাটি কিনে নেন কিছু অসাধু চক্র। আর ইটভাটার মালিকেরা ভালো মানের মাটি কম দামে পাওয়ায় তা কিনে নিচ্ছেন। মাটি কেটে নেয়ার ফলে বর্ষাকালে নদীর বাঁধ ভাঙন শুরু হবে। এতে ঘরবাড়ি ও ফসিল জমি আরও ক্ষতির মুখে পড়বে।’

সাবেক ওই ইউপি সদস্যদের ভাষ্য, ‘নদীটি পানি উন্নয়ন বোর্ড খননের সময় তাদের পুরো জমিতেই মাটি ফেলে। তাই কোনো ফসল আবাদ করা যায় না, মাটিগুলো সরাচ্ছি। তা-ছাড়াও মাটি কাটার বিষয়ে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার মো. রোকুন্নজামান জানানো হয়েছে।’

বর্তমান ইউপি সদস্য ময়নাল হক বলেন, ‘এভাবে বাঁধের মাটি কেটে নেয়া ঠিক নয়। বর্ষা এলেই ফসলী জমিসহ পুরো একাকায় পানি প্রবেশ করবে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর