জেলা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় ঝালকাঠিতে স্থায়ীভাবে নির্মিত ৫৯টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সোমবার (২৪ মে) রাতে এক ভার্সচুয়াল আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী এ তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, আবহাওয়া অফিস কর্তৃক ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কীকরণ সংকেত বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঝালকাঠির চার উপজেলায় পৃথকভাবে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি সদর, রাজাপুর ও কাঠালিয়া এই তিন উপজেলায় ১৪টি করে এবং নলছিটি উপজেলায় ১৭টিসহ মোট ৫৯টি বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এতে মোট ৩৭ হাজার ৮৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। পাশাপাশি অস্থায়ী ৪৯১টি সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের আশ্রয়ের ধারণক্ষমতা রয়েছে।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী জানান, দুর্যোগকালীন স্বাস্থ্যসেবার জন্য জেলায় ৩৭টি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
জেলা প্রশাসন থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলের অবস্থান নিশ্চিত করা হবে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল হক জানান, সিগন্যাল বাড়ানো হলে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হবে।
ঝালকাঠির নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য পৌরসভা থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ঝালকাঠি ইউনিট, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলাদা আলাদা সভা করে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ঝালকাঠি সিটিক্লাব ও পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হক বাপ্পি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীপাড়ের মানুষদের নিরাপদে রাখার জন্য আমাদের তিনতলা ক্লাবঘর খুলে দেওয়া হবে।
এদিকে প্রচণ্ড তাপদাহের পর বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়। রাতে বজ্রপাতসহ এক পশলা ভারী বর্ষণ হয়েছে পুরো জেলায়। রাত ১২টার পরও কয়েক দফা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে।