-
- দেশজুড়ে, রংপুর
- ‘জাল সনদে’ শিক্ষকতা, ধরা পড়েও বহাল তবিয়তে!
‘জাল সনদে’ শিক্ষকতা, ধরা পড়েও বহাল তবিয়তে!
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশের সময় September, 19, 2022, 6:47 pm
জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী: দীর্ঘদিন ধরে জাল সনদে চাকরির অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধের সুপারিশ করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। অবশ্য জেলা শিক্ষা অফিসারের দাবি, এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাননি তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদে চাকরি নেওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পাঁচ শিক্ষকের নাম দেখা গেছে।
জাল সনদধারী শিক্ষকেরা হলেন উপজেলার সোনাখুলী চাপানী সৈকত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আশরাফ হোসেন, জটুয়াখাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম শিক্ষক সাইফুর রহমান, ছাতনাই কলোনি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মফিজুর রহমান, খড়িবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক নাজিয়া আলম, তিস্তা কলেজের কম্পিউটার প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক ও বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক আনোয়ারুল হক।
ডিআইএ প্রকাশিত তথ্যমতে, রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের জাল সনদে চাকরিরত শিক্ষকদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই দুই অঞ্চলে জাল সনদধারী শিক্ষক রয়েছেন ৪৪৩ জন। এর মধ্যে ৩২৩ জন শিক্ষকের নাম তিন পর্বে প্রকাশ পেয়েছে।এজন্য ওই সব শিক্ষককে দেওয়া বেতন-ভাতা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, জাল সনদে চাকরি নেওয়া ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত ও সরকারি কোষাগার থেকে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা ফেরত নেওয়া হবে। এ ছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ডিআইএ থেকে জাল সনদে শিক্ষকদের চাকরি নেওয়া বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।
Related
এই বিভাগের আরও খবর