জাবি প্রতিনিধি: অনির্দিষ্টকালের বন্ধ শেষে অবশেষে আগামী রবিবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হলেও এ মাসে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে মাত্র ১০ দিন। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদী সেশনজট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখ ফাতেহা-ই-ওয়াজদেহাম, ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর শনিবার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর শুক্র ও শনিবার আবার ২২ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত শীতকালীন ছুটি। এসব ছুটি পেরিয়ে ৮-৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্লাস চলবে মাত্র ১০ দিন।
এ দিকে আবার ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় সকল ইউনিটে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ৮, ১০, ১১, ১২ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। এর ফলে অনেক বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অনুপ রায় বলেন, ‘বড় ধরনের কোনো কারণ ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় এক মাস বন্ধ ছিল। এখন আবার ডিসেম্বর মাস বন্ধে ভরা। এসব ছুটি কার্যকর হলে আমরা দীর্ঘমেয়াদী সেশনজটে পড়ে যাব। তাই প্রশাসনের নিকট আবেদন যেন শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়।’
ফার্মেসি বিভাগের এক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে বলেন, ‘এমনিতেই জাহাঙ্গীরনগরের অধিকাংশ বিভাগে আগে থেকেই সেশনজট। এর মধ্যে আবার অনির্দিষ্টকাল বন্ধ। এখন আবার এতদিন ছুটি। সবমিলিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়েছি এক মহাবিপদে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, ‘সিন্ডিকেটে শীতকালীন ছুটির বিষয়ে অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির প্রস্তাব করেন। উপাচার্য বলেছেন, শীতের ছুটিতে শিক্ষকরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান, এমনকি আমার কাছে অনেকে আবেদনও করেছেন। উপাচার্যের কথা থেকে ছুটি ঠিক থাকবে বলেই মনে হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম জানান, ‘৮ তারিখ থেকে যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। এক মাস বন্ধের ক্ষতি পূরণে আমরা বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলব যাতে তারা অতিরিক্ত ক্লাস নেন।’