,

জমির বিরোধে বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সিনিয়র ফিল্ড অপারেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট রাবেয়া খাতুনের বাসায় হামলা, বাবা-মাকে মারধর ও পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

এতে বক্তব্য রাখেন রাবেয়া খাতুনের বাবা সাবেক নৌ-কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহেনূল ইসলাম ফারুক (৬৬)। এ সময় তার স্ত্রী লুৎফা আক্তার ও মেয়ে রাবেয়া খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ১৯৯০ সালে সরিষাবাড়ী পৌরসভার আরামনগর বাজার বড় মসজিদ সংলগ্ন (ভুরারবাড়ি মৌজার বিআরএস খতিয়ান নম্বর ৪২৭, দাগ নম্বর ১১৮৫) ছয় শতক জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। তার বাসার দুই পার্শ্বে স্থানীয়দের চলাফেরার জন্য ক্রয়কৃত জমি থেকে প্রায় এক শতক জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্বপার্শ্বের একটি পরিবারের চলাচল ও সাইকেল-মোটরসাইকেল যাতায়াতের পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও তার কাছে প্রতিবেশী চরসরিষাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম রতন (৪৫) ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য অতিরিক্ত জায়গা দাবি করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষক রতন সাবেক নৌ-কর্মকর্তা রুহেনূল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে দাবিকৃত জায়গা বেদখলের অপচেষ্টা ও কয়েকবার সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলেন। এ নিয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও স্বাক্ষর জালের অভিযোগে আদালতে পৃথক তিনটি মামলা ও থানায় দুটি জিডি তদন্তাধীন আছে।

এদিকে, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রুহেনূল ইসলাম তার বাসার ভেঙে ফেলা সীমানা পুনরায় নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ সময় শিক্ষক রবিউল ইসলাম রতন, তার স্ত্রী শিক্ষিকা আফরোজা বেগম ও ছেলে আকাশসহ বহিরাগত লোকজন অতর্কিত হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। এক পর্যায়ে রুহেনূল ইসলাম, তার স্ত্রী লুৎফা আক্তার (৫৮) ও মেয়ে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তা রাবেয়া খাতুনকে (২৯) মারধর, চারটি টিনের বেড়া, একটি সিসি ক্যামেরা ও দুটি স্মার্টফোন ভাঙচুর করে নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দেন। আতঙ্কে পরিবারটি বর্তমানে অবরুদ্ধ হয়ে আছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম রতন অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, কাউকে মারধর করা হয়নি। তাকেই মারধর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষে থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর