,

ছাত্রীদের মেসেঞ্জারে কুপ্রস্তাব দেন শিক্ষক

জেলা প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি: রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ‘সুইডিশ’ নামে সুপরিচিত বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট(বিএসপিআই) এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত শিক্ষক জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (সিভিল উড) মো. এজাবুর আলম (৩৫)। শুধু ওই ছাত্রীই নয়, অভিযুক্ত শিক্ষক অন্যান্য ছাত্রীদের ফেসবুক আইডি ও  ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাদেরকে কু-রুচিপূর্ণ প্রস্তাবসহ নানান রকম যৌন হয়রানি করতেন বলে অভিযোগ করছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক ছাত্রীরা।

সম্প্রতি সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল উড বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ওই শিক্ষক কু-প্রস্তাব দিয়েছেন এমন অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ওই শিক্ষক প্রায় দুই মাস ধরে আমার ব্যাক্তিগত মেসেঞ্জার আইডিতে তার ‘এজাবুর আলম’ আইডি হতে আমাকে পরীক্ষায় ভালো নম্বর দিয়ে পরীক্ষা পাশের ব্যবস্থা করে দিবে, হোস্টেলে রুম ব্যবস্থা করে দিবেসহ নানান সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে কু-রুচিপূর্ণ অশালীন কথা বার্তা বলেন। আমাকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত এবং ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি তার এই কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে আমাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হেনস্তা করার জন্য রীতিমত হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। ‘

এজাবুর আলমের যৌন হয়রানির শিকার হয়ে পড়াশুনা শেষ না করে প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়া ৫২তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, ‘২০১৮ সালে আমার প্রথম সেমিষ্টার চলাকালে ওই শিক্ষকের সাথে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে ফেসবুকে যুক্ত করেন এবং মেসেঞ্জারে নানান রকম কু-রুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলতে থাকেন। আমার কাছে তিনি শরীরের নানান অংশের ছবি দিতে বলতেন। নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে রাতে তার বাসায় যাওয়ার জন্য বলতেন। তার বিরক্ত সহ্য করতে না পেরে আমি অভিযোগ করবো বললে তিনি আমাকে এখানে থাকতে দিবেন না এবং উল্টো আমার নিজের সম্মান নষ্ট হবে বলে জানান। ‘

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক এজাবুর আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন বলেন, ‘ অভিযোগ পাওয়ার পর সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি আমাকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমি আমার উদ্ধতন কর্মকর্তাকে জানাবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ‘

এই বিভাগের আরও খবর