,

চুল বেণি করায় শিক্ষার্থীদের ‘মারধর’!

জেলা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: বেণি করে চুল বাঁধায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালি এলাকার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কয়েকজন ছাত্রী খেলোয়াড় টিমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের মাথা ন্যাড়া করেছেন ওই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা।

কী কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠিন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, বেণি করে চুল বাঁধায় গত ৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি এলাকার এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় টিমকে মারধর করা হয়। এ ছাড়া তাদের মাঠে খেলতে নামার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। এ ঘটনার প্রতিবাদে নিজের মাথা ন্যাড়া করে ছবি তুলে বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক জাহিদা পারভীন।

তিনি ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘স্কুলের মেয়েদের মাসখানেক কষ্ট করে খেলা শিখিয়ে মাঠে নিতে যাওয়ার আগের দিন তাদের ফ্রেঞ্চ বেণি করে ছবি তোলা ও খেলতে যাওয়ার অপরাধে আমার স্কুলের হেড মাস্টার মেয়েদের চুল ধরে মারা ও বকার প্রতিবাদে নিজের মাথার চুল ফেলে দিয়েছি। খুব কি খারাপ দেখা যাচ্ছে?’

জানা গেছে, ৪৯তম জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছে। এ জন্য ১২ জন ছাত্রী নিয়ে গঠিত কাবাডি দলকে মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন জাহিদা পারভীন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে ছাত্রীদের খেলার জন্য উপযোগী করে তুলেছি। কিন্তু খেলার আগের দিন তাদের ফ্রেঞ্চ বেণি করে ছবি তোলা ও খেলতে যাওয়ায় তাদের চুল ধরে মারধর করেন প্রধান শিক্ষিকা। তাদের বকাঝকাও করেছেন। এমনকি বেণি করায় মেয়েদের খেলায় অংশ নিতেও দেননি। এতে আমি কষ্ট পেয়েছি।’

অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিপা চৌধুরী বলেন, ‘চুল বেণি করায় কোনও ছাত্রীকে  মারধর করা হয়নি। বরং বেণি করে আসা ছাত্রীদের সঙ্গে আমি ছবি তুলেছি।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। আমি বাকি দুই সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করেছি। চেষ্টা করবো নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্ট জমা দিতে।’

এই বিভাগের আরও খবর