,

চিরন্তন ভালোবাসা বলে কিছু নেই, বলছে বিজ্ঞান

বিডিনিউজ ১০, লাইফস্টাইল ডেস্কমনোবিজ্ঞানী বারবারা ফ্রেডরিকসন তার নতুন বই লাভ ২.০: হাউ আওয়ার সুপ্রিম ইমোশন অ্যাফেক্টস এভরিথিং উই ফিল, থিঙ্ক, ডু, অ্যান্ড বিকাম-এ ভালোবাসার সম্পূর্ণ নতুন একটি ধারণা দিয়েছেন।

চ্যাপেল হিলের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক আবেগ বিষয়ে নেতৃস্থানীয় গবেষক ফ্রেডরিকসন।
তিনি দাবি করেন, ভালোবাসাকে আমরা যেমনটা ভাবি ভলোবাসা তেমনটা নয়। এর স্বপক্ষে তিনি বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্য-প্রমাণও হাজির করেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি, সার্বক্ষণিকভাবে হাজির কোনো আবেগের কারণে কোনো বিয়ে টিকে থাকে না। ব্যাকুলতা বা আবেগই শুধু কোনো তরুণ ভালোবাসার বৈশিষ্ট নয়। আর এটি কোনো আত্মীয়তার বন্ধনও নয়।

বরং তার মতে, ভালোবাসা মানে হলো ইতিবাচক অনুরণনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূ্র্তের সমষ্টি। ভালোবাসা হলো একটি সংযোগ, যাতে থাকে ইতিবাচক অনুভূতির বন্যা। যা আপনি অপরের সাথে শেয়ার করেন। যার সঙ্গে আপনার দিনের নানা কর্মতৎপরতার মাঝখানে ঘটনাক্রমে যোগাযোগ সৃষ্টি হয়। আপনি এই মুহূর্তগুলো আপনার রোমান্টিক পার্টনার বা শিশু অথবা ঘনিষ্ঠ কোনো বন্ধুর সঙ্গেও অভিজ্ঞতায় অর্জন করতে পারেন।

তবে আপনি ক্ষণিকের জন্যও কারো প্রেমে পড়তে পারেন। যেমন, রাস্তায় কোনো অপরিচিত জন, সহকর্মী বা মুদি দোকানের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কেউ।
ফ্রেডরিকসনের মতে, ভালোবাসাকে শুধু বিশেষ কোনো মানুষের (জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর) সঙ্গে সীমাবদ্ধ করলে ভালোবাসা থেকে মানুষ যে স্বাস্থ্য এবং সুখ পেয়ে থাকে তার গণ্ডিও সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। অথচ এখন পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই তাদের ভালোবাসাকে এভাবে শুধু বিশেষ একজনের সঙ্গে সীমাবদ্ধ করে ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

ফ্রেডরিকসন বলেন, যেসব নিঃসঙ্গ মানুষরা ভালোবাসার জন্য এমন বিশেষ কাউকে খুঁজে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তার বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। তারা মূলত রোমান্টিক ভালোবাসা সম্পর্কে যে পৌরাণিক গালগল্প প্রচলিত আছে সেসবে বিশ্বাস করে বসে আছেন। এরচেয়ে বরং তারা যদি অপরের সঙ্গে সংযোগের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তগুলোতে ভালোবাসার অনুসন্ধান করেন এবং তা উপভোগ করেন তাহলেই তাদের একাকিত্ব বা নিঃসঙ্গতা কেটে যাবে সহজে। আর প্রতিদিনই আমরা অসংখ্যবার এ ধরণের ইতিবাচক সংযোগমূলক মুহূর্তের অভিজ্ঞতা লাভ করি।
সূত্র: দ্য আটলান্টিক

এই বিভাগের আরও খবর