,

চারঘাটে মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাটে মাইকিংয়ের মাধ্যমে লোকজন জড়ো করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে রেজাউল করিম (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন।

উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রাম ও পাশের পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের দীঘলকান্দি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দীঘলকান্দি গ্রামের দুই যুবককে আটক করেছে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে শলুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের কয়েকজন যুবককে মারধর করে মোটরসাইকেল কেড়ে নেয় পাশের ১নং ওয়ার্ডের দীঘলকান্দি গ্রামের কয়েক যুবক।

বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে দুগ্রামবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকাল থেকে মাইকিং করে লোকজন জড়ো করতে থাকে দুই গ্রামবাসী। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চারঘাট সার্কেল) নুরে আলম সিদ্দীকি, উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম ও চারঘাট মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম। শুরু হয় দুপক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা। এ সময় হঠাৎ দীঘলকান্দি গ্রামের আখতার আলীর ছেলে সবুজ আলী ও আলী হোসেনের ছেলে আবু শামার নেতৃত্বে গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র হাতে শিবপুর গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এতে শুরু হয় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ।

এ সময় শিবপুর গ্রামের রেজাউল করিম, আকবর আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আহত হন। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেজাউলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবরে শিবপুর গ্রামবাসীর মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে দুই গ্রামেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ দীঘলকান্দি গ্রামের সবুজ ও আবু শামা নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। চারঘাট মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, সমঝোতার সময় দীঘলকান্দির লোকজন শিবপুরবাসীর ওপর হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করে তোলে। নিহত ব্যক্তি শিবপুর গ্রামের মৃত আবদুল হালিমের ছেলে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। পরিস্থিতি শান্ত হলে সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর