,

চাঁদপুরে শিক্ষামন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ডিসির মামলা

জেলা প্রতিনিধি, চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় মেঘনার চরে প্রায় সাড়ে ৪৮ একর সরকারি খাসজমি উদ্ধারে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার চাঁদপুর সদরের সিনিয়র সহকারী জজ মো. মহিউদ্দিনের আদালতে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের পক্ষে মামলাটি করেন সরকারি কৌঁসুলি মো. আব্দুর রহমান।

মামলায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বড় ভাই চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপুকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় টিপু ছাড়াও হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন পাটোয়ারী ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন সরদারসহ ২৪ জনের নাম রয়েছে।

সরকারি কৌঁসুলি মো. আব্দুর রহমান বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার শুনানির তারিখ ৩১ মে।

মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, হাইমচর উপজেলার সোনাপুর-তাজপুরে ১৯৫০ সালে বাহেরচর মৌজায় চর জেগে ওঠে, যা পরে পয়স্তি ভূমি হিসেবে চিহ্নিত হয়। এ পরিস্থিতিতে সরকারি খাসজমি হওয়ায় এ, বি ও সি ক্যাটাগরি করে তা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু এক নম্বর বিবাদীসহ অন্যরা ভুয়া ও জাল দলিল তৈরি করে সেখানে প্রায় সাড়ে ৪৮ একর জমি হাতিয়ে নেন।

এতে আরও বলা হয়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এ পরিস্থিতিতে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে সরকারি জমি উদ্ধারে দেওয়ানি মামলা করা হয়।

অভিযোগ আমলে নিয়ে শুনানির জন্য ৩১ মে দিন নির্ধারণ করেছেন চাঁদপুর সদরের সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

অভিযোগের প্রধান প্রতিপক্ষ ডা. জাওয়াদুর রহিম টিপু পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খাস জমি উদ্ধার ও দলিল বাতিলের জন্য সরকারের পক্ষে মামলাটি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জমিজমা সংক্রান্ত কোনো মামলা হলে সেটার বাদী হন জেলা প্রশাসক। সে হিসেবে আমি মামলার বাদী হয়েছি। দেওয়ানী মামলাটিতে ২৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে, যারা জমির দলিলগুলো সৃজন করেছেন।’

এই বিভাগের আরও খবর