নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর অগ্রখাগ। এর প্রভাবে এ অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে এবং ঝড়ো বাতাস বইছে। এটি আজ রাত ৯টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এ কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। তবে উপকূল অতিক্রমের সময় ঘর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’র রূপ নিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলের ১৮০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। সন্ধ্যা রাতেই ঝড়টি প্রবল হয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল আঘাত আনতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বিকেলে পর ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা ও মোংলার দিক থেকে গতি বদলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে অগ্রসর হয়। এরফলে এই দুই বন্দরে বিপদ সংকেত কমিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বাজারে বাড়ানো হয়। আবহাওয়া অফিস বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ রাত ৯টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তবে উপকূল অতিক্রমের সময় ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে যাবে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ফেনী নোয়াখালী লক্ষীপুর ও তাদের অদুরবর্তী দ্বীপগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প¬াবিত হতে পারে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবানসহ পার্বত্য এলাকায়গুলোতে ভূমি ধস হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার মাছ ধরা ট্রলারসহ সংশি¬ষ্টদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এসব এলাকাগুলোই ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাগরও উত্তাল রয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে পানির উচ্চতা।