,

গরমের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে পাকিস্তানের জ্যাকোবাবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের শহর জ্যাকোবাবাদ। কর্কট ক্রান্তীয় রেখায় অবস্থানের কারণে গ্রীষ্মে অঞ্চলটির তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৬ ফারেনহাইট) পর্যন্ত বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দুই লাখ জনসংখ্যার এই শহরটির তীব্র গরমের কারণে পরিচিত। গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহের তীব্রতায় বাসিন্দারা বাইরে বেরোতে সাহস করে না।

আব্দুল বাকি নামে স্থানীয় এক দোকানদার দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘মানুষ ঘর থেকে বের হয় না। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেলে বেশির ভাগ রাস্তা খালি হয়ে যায়।’

পাশ থেকে অন্য এক বাসিন্দা বলেন, ‘রাস্তা এত গরম হয়ে যায় যে আপনি খালি পায়ে দাঁড়াতে পারবেন না।’

শহরের বেশির ভাগ হাসপাতালে গিজগিজ করছে হিটস্ট্রোকের রোগী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপ এবং আর্দ্রতার মিশ্রণে শহরটির অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, মানবদেহ এই অবস্থা সহ্য করতে পারছে না।

লফবরো ইউনিভার্সিটির ক্লাইমেট সায়েন্সের অধ্যাপক ম্যাথিউস ও তার দল গত বছর বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া স্টেশনের ডাটা বিশ্লেষণ করেন। তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের উত্তর-পূর্বের রাস আল খাইমাহ এবং পাকিস্তানের জ্যাকোবাবাদের তাপমাত্রা প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে।

এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে গবেষকরা ভেজা বাল্বের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন। পানি ভেজানো কাপড়ে একটি থার্মোমিটারকে মুড়িয়ে তার ওপর বাতাস দেয়া হয়। ১০০ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতায় ভেজা বাল্বের তাপমাত্রা বাতাসের তাপমাত্রার সমান; কম আর্দ্রতায় বাষ্পীভবন শীতল হওয়ার কারণে ভেজা বাল্বের তাপমাত্রা শুষ্ক বাল্বের তাপমাত্রার চেয়ে কম।

কৃষিভিত্তিক অঞ্চল জ্যাকোবাবাদ এই পরিস্থিতি পার করেছে কয়েকবার। ১৯৮৭ সালের জুলাইয়ে শহরটি ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে। ২০০৫, ২০১০ সালের জুনেও একই অবস্থা ছিল। ২০১২ সালের জুলাইয়ে এমন তাপমাত্রা দেখেছে জ্যাকোবাবাদবাসী।

গবেষকরা বলছেন, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা স্বাস্থ্যকর মানুষের জন্যও মারাত্মক হতে পারে। কারণ ঘামের কারণে শরীর নিজেকে শীতল করতে পারে না।

এই বিভাগের আরও খবর