বিডিনিউজ ১০ ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে সারাদেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে তারা দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে। গুম-খুন-অত্যাচার করে সারাদেশে হাহাকার তৈরি করেছে। মানুষের চোখের জলে ভেসে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখন সময় এসেছে রুখে দাঁড়াবার। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা দেখে সরকার ভয় পেয়ে গেছে।
বুধবার বিকেলে কুমিল্লার সুয়াগাজী-ফুলতলী মাঠে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। কুমিল্লা-১০ সংসদীয় আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কারাবন্দি মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ এ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। বন্দি অবস্থার পরিবর্তন চায়। আর এজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশকে আর বন্দি থাকতে দেয়া যাবে না। বুকে সাহস নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। না হয় মুক্তি মিলবে না। দেশের মানুষের হাহাকার গুছবে না।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার সারাক্ষণ উন্নয়নের বুলি ছাড়ে। তারা নাকি দেশের উন্নয়ন করেছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, উন্নয়নই যদি করে থাকেন, তাহলে ভয় পান কেনো? তারা ভয় পায় কারণ- উন্নয়ন করেছে নিজেদের। জনগণের টাকা লুট করে নেতাদের পকেট ভারি করেছে। বিদেশে বাড়ি করেছে। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে এসব অত্যাচার-জুলুমের জবাব দিতে হবে। এ সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা খান সফরী, বিএনপির প্রেস উইং সদস্য শামুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা-১০ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর মেয়ে সায়মা চৌধুরী।
জনসভায় কুমিল্লা-১০ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কারাবন্দি মনিরুল হক চৌধুরী, সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূইয়া, নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোবাশ্বের আলম চৌধুরীসহ সকল কারাবন্দি নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানান বক্তারা।