জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় এ মৌসমে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে পটলের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদিত পটল নিয়ে বিড়ম্বনায় পরেছে চাষীরা।
এ অবস্থায় বৃষ্টিতে পটলের গাছ মরে যাওয়াসহ বাজারে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পটলের দাম অনেক কমেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পটলের দাম কেজি প্রতি কমেছে ১০-১৫ টাকা। বর্তমানে কৃষকরা পাইকারদের কাছে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৬-৭ টাকা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হয়েছে। এদিকে শুধু সদর উপজেলায় পটলের আবাদ হয়েছে ৬২ হেক্টর জমিতে।
চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পটল চাষে প্রতি বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হলেও প্রতি বিঘা জমির উৎপাদিত পটল ৯০-১ লাখ টাকা বিক্রির আসা ছিল তাদের। ভারী বৃষ্টি ও আমদানি বেশি থাকার কারণে পটলের দাম পাচ্ছে না চাষীরা। প্রতি মণ পটল বর্তমানে বাজারে ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবস গ্রামের পটল চাষী নূর ইসলাম বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে পটলের আবাদ করছি প্রথমের দিকে পটলের খুবই ভালো দাম পেয়েছি। এখন আর ভালো দাম পাচ্ছি না। আগে তো এখানকার পটল দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেত, এখন আর যাচ্ছে না। বর্তমানে ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকা প্রতি মন পটল বিক্রি করছি। আবার বৃষ্টির কারনে পটলের গাছও মরে যাচ্ছে।
ওই ইউনিয়নেন সিতাইঝাড় গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে পটলের গাছ মরে যাচ্ছে, খেতে পানি জমেছে। বর্তমানে পটল বাইরের জেলাতে না যাওয়ার কারণে দাম অনেক কমেছে। না বিক্রি করে তো কোন লাভ নাই, যা পাচ্ছি তাই লাভ, এতো পটল কি করবো আমরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল রশিদ জানান, যে সময় বাজারে কোন সবজির উৎপাদন বেশি হয় ঠিক সে সময়ে দামটা একটু কমে যায়। বর্তমানে বাজারে ৭-৮ টাকা প্রতি কেজি পটল বিক্রি করছেন চাষিরা। কৃষকরা এতো টাকা পয়সা খরচ করে যদি ন্যায মূল্য না পায় তা তো অবশ্যই হতাশার।