কাশিয়ানী প্রতিনিধি: নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগে সয়লাব গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হাট-বাজারগুলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে এসব পলিথিন ব্যাগ। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা পলিপ্রোপাইল, পলিইথাইল, এইচডিপি নামের বিষাক্ত এসব পলিথিন ব্যাগ আমদানি করছে।
পলিথিন ব্যাগ পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এছাড়া জমির উর্বরতা হ্রাস, খাল-নাল, ড্রেনের পানি নিষ্কাষণে সমস্যা সৃষ্টি ও নালা-নর্দমায় পলিথিন ছড়িয়ে পড়ায় বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পলিথিনের ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে ২০০২ সালে মার্চে সরকার কর্তৃক সকল প্রকার শপিং পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাত, বিক্রি, প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, পরিবহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে । এরপর থেকে পলিথিন ব্যাগ বিক্রি ও ব্যবহার কমে গেলেও কিছুদিন পর আবারও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা আমদানি শুরু করে। এখন হাট-বাজারে সর্বত্র পলিথিন ব্যাগ কিনতে পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলা সদরসহ ভাটিয়াপাড়া, রামদিয়া, রাজপাট, রাহুথড়, রাজপাট, জয়নগর, সাজাইল, বাথানডাঙ্গা, ঘোনাপাড়া ও তিলছড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হোটেল-রেস্তোরা, মুদি দোকান, কাঁচাবাজারসহ প্রায় সব দোকানে পণ্য পরিবহনে দেদারছে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিক্রেতারা পলিথিনে পণ্য ভরে ক্রেতাদের হাতে ধরিয়ে দিচেছন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সনজয় কুমার কুন্ডু বলেন, ‘পলিথিন কৃষি জমির জন্য মারাত্মক হুমকি। এটি অপচনশীল হওয়ায় জমির উর্বরতা নষ্ট করে। ফলে সেখানে কোন ধরণের ফসলাদি হয় না। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে।’
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘হাট-বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’