কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি শনিবারে সরকারি চাকরিজীবিদের ছুটি থাকলেও এ বছর থেকে চিকিৎসকদের শনিবারেও অফিস করা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। অথচ শনিবারে একদিনও অফিস করেন না চিকিৎসক হাসানুজ্জামান। এমনকি মাঝে-মধ্যে বুধবারেও বাড়িতে চলে যান, রোববারে এসে অফিস করেন তিনি। অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে নিয়মিত উপস্থিত দেখিয়ে বেতন উত্তোলন করছেন। গত ১৫ আগষ্টে চিকিৎসকদের হাসপাতালে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করলেও তিনি উপস্থিত না থেকেই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। হাসানুজ্জামান কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। উপজেলা মেডিকেল অফিসার আরিফুন্নাহার আশাকে ম্যানেজ করে হাসানুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে এ ধরণের অনিয়ম করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে গত ২৩ নভেম্বর সরেজমিনে অনুসন্ধান করতে গেলে বেলা সাড়ে ১২টায় হাসপাতাল ভবনের মূল গেটে তালা ঝুলতে দেখা যায়। গেটের সামনে জ্বরে অসুস্থ বাচ্চা নিয়ে দীর্ঘ এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছেন সুমাইয়া বেগম। কিছুক্ষণ পর সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে এগিয়ে আসেন অফিস পিয়ন আলম হোসেন ও পরিচ্ছন্ন কর্মী সঞ্জয় কুমার পাল। এর কিছুক্ষণ পর সহকারী নার্সিং এটেনডেন্ট হাবিবা পারভীন এসে তালা খুলে অফিসে বসেন।
এ সময় রোগী পরিচয়ে ডা. হাসানুজ্জামানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বাড়িতে রয়েছেন জানান, রোববারে অফিসে এসে দেখা করতে বলেন। তবে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি ফোনটি কেটে দেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসক হাসানুজ্জামান শনিবারে একদিনও অফিস করেন না। এছাড়া তিনি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামতো অফিস করেন। প্রায় তিনি অনিয়মিত অফিস করেন। ফলে ওই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়ছে বলে মনে করছেন তারা।
রাজপাট গ্রামের আকাশ মোল্যা বলেন, ‘রাজপাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে ঠিকমতো ডাক্তার পাওয়া যায় না। ডাক্তারের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা গেটের সামনে অপেক্ষা করতে হয়।’
এ ব্য্যাপারে উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফুন্নাহার আশার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোনে কোন ধরণের বক্তব্য দিতে রাজি হননি। সরাসরি অফিসে গিয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।