কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ক্যাবল ব্যবসায়ীর ব্যবসায়িক এলাকার আধিপত্য জোরপূর্বক দখলে নিতে প্রভাবশালীরা পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রভাবশালীরা ভূক্তভোগী নাসির উদ্দিন মোল্যাকে নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখানো ও তার গ্রাহকদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ আদায় করছে বলেও অভিযোগ।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী নাসির উদ্দিন মোল্যা।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার আড়–য়াকান্দি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নাসির উদ্দিন মোল্যা একই উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের বাথানডাঙ্গা বাজারে ‘পল্লী ভিশন টিভি ক্যাবল নেটওয়ার্ক সার্ভিস’ নামে কেবল অপারেটর ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের দীঘড়গাতী এলাকায় ‘ক্যাবল নেটওয়ার্ক’ নামে ফিড অপারেটর লাইসেন্স নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডিস লাইনের ব্যবসা করে আসছেন।
কিন্তু তার এ ব্যবসায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একই উপজেলার গোয়ালগ্রামের প্রভাবশালী মনিরুজ্জামান মনু, শাহ আলম, শাহাদত শেখ ও পদ্মবিলা গ্রামের গোলাম মোস্তাফা শেখ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ‘ডিজিটাল কেব্ল নেটওয়ার্ক সার্ভিস’ নামে কেব্ল লাইসেন্স করে পূর্বের ব্যবসায়ী নাসিরের ক্যাবল ব্যবসার মালামাল এবং ব্যবসায়িক এরিয়ে জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করছেন। নাসিরের কার্যক্রম এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের সার্ভিস চার্জ দিতে নিষেধ করেন। এমনকি নাসিরের কর্মচারীরা তাদের নিষেধ এলাকায় প্রবেশ করিলে দেখে নেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে অভিযোগ নাসির উদ্দিনের।
এদিকে, নিয়মবহির্ভূতভাবে একই এলাকায় দু’টি ক্যাবল অপারেটর লাইসেন্স দেয়ায় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
নাসির উদ্দিন মোল্যা বলেন, ‘প্রতিপক্ষের লোকেরা আমার কেবল ব্যবসার এরিয়া জোরপূর্বক দখলে নেয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে। আমার কার্যক্রম এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসিক বিলের টাকা আদায় করছে। আমাকে ব্যবসা থেকে উচ্ছেদের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মনিরুজ্জামান ও তার বাহিনী। এখন আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।’
এ ব্যাপারে মো. মনিরুজ্জামান মনু তাদের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নাসির উদ্দিন মোল্যাসহ আমরা ৭ জনে যৌথভাবে ডিস লাইনের ব্যবসা করেছিলাম। কিন্তু নাসির মোল্যা আমাদেরকে আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে এবং উল্টো মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে।’
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস, এম মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি অভিযোগ পেয়েছি। নির্বাচনের কারণে দু’পক্ষকে ডাকতে পারিনি। তবে দ্রুত উভয়পক্ষকে ডেকে সমঝোতা করে দেব।’