লিয়াকত হোসেন (লিংকন): গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাড়ে ৩শ’ ফুট দৈর্ঘ্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলার পরানপুর গরুরহাট এলাকায় মধুমতি বাওড়ের উপর ইউপি সদস্য রিজাউল মোল্যার তত্ত্বাবধানে সাঁকোটি নির্মাণ হচ্ছে। এতে কাশিয়ানী ও লোহাগড়া উপজেলার প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ লাঘব হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৪৭ বছর ধরে কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়ন ও পাশর্^বর্তী লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষ একটি চ্যানেল (মধুমতি বাওড়) দ্বারা বেষ্টিত। এসব গ্রামের মানুষ সারা বছর নৌকায় পার হয়ে হাট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে থাকে। তবে সড়ক পথে যাতায়াত করতে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। অথচ এই দুই উপজেলার সংযোগস্থল মধুমতি বাওড় পার হলেই পাঁচ মিনিটে কাশিয়ানী উপজেলার বৃহত্তম পশুরহাট পরানপুর বাজার ও রাতইল ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করা যায়।
স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণকারী চরপরানপুর গ্রামের অপু মোল্যা বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে টাকা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে গত দুই সপ্তাহ ধরে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণের কাজ করছি। এর ফলে আমাদের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাঘব হবে।’
পরানপুর গ্রামের সুমন বলেন, ‘সারা বছর আমরা নৌকা দিয়ে পারাপার হয়ে কাশিয়ানী সদরে যাতায়াত করে থাকি। পারাপারের এ দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।’
ইউপি সদস্য মো. রিজাউল মোল্যা জানান, ‘দীর্ঘ ৪৭ বছরের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে মধুমতি বাওড়ের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করছি। তবে নির্মাণাধীন বাঁশের সাঁকোর জন্য সরকারিভাবে কোন আর্থিক সহযোগিতা পাইনি।’
রাতইল ইউপি চেয়ারম্যান বি, এম হারুন অর রশিদ (পিনু) জানান, স্থানীয়দের নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হচ্ছে। এ খাতে কোন বরাদ্দ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি এলাকাবাসীকে স্বাগত জানাই।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ, এস, এম মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমি এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণের কথা শুনেছে এবং এ মহৎ কাজের সাথে জড়িত সকলকে সাধুবাদ জানাই।’