মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা কারাগার থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক শিক্ষার্থী। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার আছিদ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় মৌলভীবাজার আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
তিনি শ্রীমঙ্গল শহরের ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মৌলভীবাজার জেলা কারাগার থেকে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের সুপার আব্দুল কুদ্দুছ।
জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোণ ইউনিয়নের পারের টং গ্রামের বাসিন্দা নওসু মিয়ার ছেলে ও আছিদ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হেলাল আহমেদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তিনি মৌলভীবাজার নারী শিশু আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করলে তাকে কারাগার থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, এই বছর সুন্দর পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী জেলা কারাগার থেকে এবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আমরা জেনেছি, সে গত বুধবার একটি মামলায় আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন। কিন্তু সে এসএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ায় জেল হাজতে তাকে পরীক্ষার দেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও কন্ট্রোলার বরাবর চিঠি লিখেছেন জেল সুপার। চিঠি লেখার পর বোর্ড কন্ট্রোলার থেকে পরীক্ষার অনুমতি আসে। এরপর জেলা প্রশাসন থেকে তার পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৌলভীবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের আওতায় পরীক্ষা দিচ্ছে। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়।
জেলা কারাগারের সুপার আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, বুধবার সে কারাগারে আসে। শ্রীমঙ্গল থানায় তার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে। পরীক্ষার দিন তাকে সময়মতো বেলা ১১টায় প্রশ্ন দেওয়া হয়। তবে সে ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়েছে।
এদিকে মৌলভীবাজার জেলায় এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ৩০ হাজার পাঁচ জন শিক্ষার্থী। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেলার ৪১টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সাত উপজেলার শিক্ষার্থীরা।