বাগেরহাট: করোনা ভাইরাস দুর্যোগের সময় ঝুঁকির মুহূর্তে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে তথ্য সংগ্রহে একযোগে কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার ও স্বাস্থ্য সহকারীগন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। চলমান এই ঝুঁকির মধ্যেও নিরলস ভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সরকারী হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে এ সেবা কাজ পরিচালিত হচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
সোমবার,( ২৭শে এপ্রিল) মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কয়েকটি কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীরা নিয়মিত সেবা পাচ্ছেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেছেন, আমরা যারা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী এ পেশায় রয়েছি সব কিছু জেনেই এসেছি। যে কোন দুর্যোগের সময় মানুষের সেবা প্রদান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। ভয় পেলে চলছে না। কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী ও হেলথ প্রোভাইডারগন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ঝুঁকির মধ্যেও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এ সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্লিনিকগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ। এদেরকে এক জোড়া হ্যান্ড গ্লাফস, এক পিস হ্যান্ড সেনিটাইজার ও একটি করে নরমাল পিপিই দেয়া হয়েছে।
এসব ক্লিনিক থেকে শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিনই সেবা দেয়া হয়। গড়ে ৪৫/৫০ জন করে প্রতিদিনই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরীব রোগীরা বিনামূল্য চিকিৎসা পায়। করোনা পরিস্থিতিতে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা আরও বেড়েছে।
সিএইচসিপিরা জানিয়েছেন, ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতিতে যেখানে চিকিৎসক, নার্সরা সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে সেবা দেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি চিকিৎসক মারা গেছেন এমন ঘটনাও আছে, সেখানে মাঠ পর্যায়ের এই কর্মীরা কতটুকু নিরাপদ? কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হওয়ায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে সিএইচসিপিরা। কারণ করোনা সচেতনতা এখনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্য তৈরি হয়নি। গ্রামের মানুষ এখনো স্বাস্থ্য বিধি না মেনে অবাধে ঘুরাফেরা করে। তাদের মধ্য সামাজিক দুরত্ব মানার প্রবণতা নাই। আর সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহারও নাই। তাই এই মুহূর্তে ভালো মানের মাস্ক, হ্যান্ডস গ্লাবস, পিপিই, হেক্সিসল, সেনিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় সকল উপাদান কমিউনিটি ক্লিনিকে সরবরাহ করা জরুরি।
যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সুরক্ষা সামগ্রী সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে বলা হলেও বাস্তবে সেটি এখনও সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌঁছায়নি।