কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: এক মাস ধরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর উপজেলার অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকে চরম ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ওষুধ সরবরাহের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষেরা সেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু ওষুধ না থাকায় সিএইচসিপিরা রোগীদের শুধু স্বাস্থ্য শিক্ষা দিচ্ছেন। ফলে এসব ক্লিনিকে চলতি মাসের শুরু থেকে রোগীর সংখ্যাও কমে গেছে অনেকাংশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া উপজেলার ৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে পুনরায় চালু করেন। এসব ক্লিনিক থেকে রোগীদের প্রতিদিন ২৭ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু গত এক মাসে বিভিন্ন ক্লিনিকে ওষুধ সংকট দেখা দেয়। ক্লিনিকে ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যায় রোগীরা।
উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের ভাদুলিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ না পেয়ে ফিরে আসা ভাদুলিয়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব রানু বেগম বলেন, ‘গ্যাসের বড়ি নিতি ক্লিনিতে আইছিলাম। কিন্তু দাক্তার কইছে বড়ি নাই। তাই বাড়ি চইলে যাচ্ছি।’
সরেজমিনে উপজেলার হাতিয়াড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, ওষুধ না থাকায় সিএইচসিপি রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। সেখানে ওষুধ নিতে আসা একই গ্রামের মনিন্দ্রনাথ বিশ্বাস, নেপাল বালা, অমলা বিশ^াস জানান, তারা ওষুধ নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে এসেছিলেন। ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।
একই ক্লিনিকের সিএইচসিপি কপিল গাইন বলেন, ‘ক্লিনিকে অনেক দিন ধরে ওষুধ সংকট চলছে। ২৭ প্রকারের ওষুধের মধ্যে ৩-৪ প্রকারের ওষুধ আছে। তা দিয়ে সব ধরণের চিকিৎসা সম্ভব নয়। যে পরিমাণ ওষুধ পাই, তা দেড়-দুই মাসেই প্রায় শেষ হয়ে যায়।’
কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলহাজ¦ ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘ওষুধের কোনো সংকট নেই। প্রতিটি ক্লিনিকেই চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। তিন মাস অন্তত ওষুধ বিতরণ করা হয়ে থাকে। তিন মাসের শেষের দিকে একটু সংকট হতে পারে।’