লাইফস্টাইল ডেস্ক: ভাজাপোড়া খাবার খেতে শসার সালাদের পাশাপাশি কাঁচা পেঁপের সালাদও খাওয়া হয়। আবার অনেকে কাঁচা পেঁপের সঙ্গে তেঁতুল ও লবণ, মরিচ মিশিয়ে ভর্তা মাখিয়ে খান। অন্যান্য ফলের তুলনায় এই ফলে ক্যারোটিন রয়েছে অনেক বেশি। পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচা পেঁপের কিছু উপকারী দিক সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
অন্ত্রের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা-
পেঁপের বীজে রয়েছে এন্টি- অ্যামোবিক ও এন্টি-প্যারাসিটিক বৈশিষ্ট্য। এটি অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, আলসার, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ইত্যাদি থেকেও সুরক্ষা দেয় এটি।
ত্বকের সমস্যা দূর করা-
কাঁচা পেঁপেতে থাকা পুষ্টিগুণ ত্বক থেকে ব্রণ দূর করে। পাশাপাশি এটি যেকোনো সংক্রামক থেকে রক্ষা করে। অনেকেই তাই ত্বকের যত্নে কাঁচা পেঁপের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে। এটি ত্বক থেকে মরা কোষ দূর করে ত্বককে পুনজ্জ্বীবিত করে তোলে।
পিরিয়ডের ব্যথা সারানো-
পেঁপের যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা নারীদের পিরিয়ডের ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। পেঁপে পাতা, তেঁতুল ও লবন একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে খেলে এই ব্যথা সেরে যায়।
হৃদরোগের সমস্যা দূর করা-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহয্য করে কাঁচা পেঁপে। এটি রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর সোডিয়ামের মাত্রা কমাতেও এটি বেশ কার্যকর। নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে নানাধরনের হৃদরোগ থেকে মুক্তি মেলে সহজেই।
ওজন কমানো-
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই ও এ রয়েছে কাঁচা পেঁপেতে। কম ক্যালোরি সম্পন্ন এই ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
দেখলেন তো, কাঁচা পেঁপের কত উপকারিতা। আজ থেকে তবে এই ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।