ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের অবহেলার কারণে পূর্ব ছোট কৈবর্তখালী ইসলামিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার ৭ শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিভাবকরা জানান, ১৮ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চলতি বছরের মে-জুন মাসের মাঝামাঝি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে শিক্ষার্থীদের তালিকা জমা দেন মাদরাসা সুপার মো. হাসান মাহমুদ।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তালিকা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়াসহ পরীক্ষার ফি জনপ্রতি ৬০ টাকা হারে জমা দিলে শিক্ষা অফিস গ্রহণ করে। পরীক্ষার আগে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গেলে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ব্যস্ততা দেখিয়ে বার বার পরে আসতে বলেন।
সর্বশেষ পরীক্ষার আগের দিন শনিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জানিয়ে দেয়া হয় ‘ওই ৭ শিক্ষার্থীর অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়নি। যার ফলে এ বছর তারা আগামীকালের ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
এ ব্যাপারে পূর্ব ছোট কৈবর্তখালী ইসলামিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার সুপার মো. হাসান মাহমুদ জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসের অবহেলার কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় এখন অভিভাবকদের চাপে আছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের মোবাইলফোন নম্বরে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ আলমগীর জানান, এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের কোনো অবহেলা প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।