,

একজন অডিটর দিয়েই চলছে কাশিয়ানী হিসাবরক্ষণ অফিস

লিয়াকত হোসেন (লিংকন): গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে জনবল সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম। ৭টি পদ থাকলেও মাত্র একজন অডিটর দিয়েই চলছে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস।

পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকলেও তিনি সপ্তাহে একদিন কাশিয়ানীতে অফিস করেন। ফলে সেবা গ্রহীরাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সেবা দানে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হচ্ছে দায়িত্বে থাকা একমাত্র অডিটর মোহাম্মাদ আলীকে।

জানা গেছে, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অচিন্ত্য কুমার হালদার রোগজনিত কারণে মারা যাওয়ায় তার পদটি শূন্য হয়ে গেছে। এছাড়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে একজন অডিটর, তিনজন জুনিয়র অডিটর, একজন টাইপিষ্ট, একজন অফিস সহায়কসহ ৭টি পদ থাকলেও ছয়টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য অবস্থায় রয়েছে।

শুধুমাত্র মোহাম্মাদ আলী নামে একজন অডিটর নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার ভক্ত বর্তমান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সপ্তাহে মাত্র একদিন কাশিয়ানীতে অফিস করেন তিনি। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলায় ১৫ শ’ জন পেনশনভোগী, ৩২টি সরকারি অফিস, প্রায় ১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ২৫০ শতাধিক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী, একটি সরকারি কলেজ, একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষকের বেতন ভাতা এবং ১৪টি ইউনিয়নের উন্নয়নসহ সকল সরকারি কাজের বিল এ অফিস করা হয়। জনবল সংকটের কারণে সারাদিন অফিসে বসে থেকেও কোন কাজ করতে পারছেন না।

কাশিয়ানী সদরের পেনশনভোগী আবুল মুনসুর হাওলাদার জানান, হিসাবরক্ষণ অফিসে জনবল সংকটের কারণে ঠিকমতো সেবা পাচ্ছি না। পেনশনের টাকা পেতে বিলম্ব ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর