,

ইউপি নির্বাচনে `সাজাপ্রাপ্ত আসামি’ সদস্যপ্রার্থী

দুই প্রার্থী লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন, ২০০৩ সালের ৫ জুন হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের বয়াচরের মাঈনুদ্দিন বাজারে সশস্ত্র হামলা, বোমাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় মিরাজসহ ১৩ জন আসামিকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজা দেওয়ার পর থেকে মিরাজ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি। এ সুযোগে তিনি সাজার তথ্য গোপন করে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন।

অভিযোগকারী দুই প্রার্থীর কাছ থেকে পাওয়া মামলার এজাহার ও আদালতের রায়ের কপি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০৩ সালের ১১ আগস্ট নোয়াখালী দ্রুত বিচার আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার ওই মামলার রায় দেন। রায়ে মিরাজসহ ১৩ জন আসামিকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মিরাজ বলেন, তিনি মামলা বা সাজার বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে এখন শুনছেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হাতিয়ার হরণী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। প্রার্থী ও অভিযোগকারীদের আজ তিনি তাঁর কার্যালয়ে ডেকেছেন। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী মিরাজের বিরুদ্ধে এর আগে দুটি মামলার তথ্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। তবে কোনো মামলায় তাঁর সাজা হওয়ার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও থানায় পাওয়া যায়নি বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর