নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তালাকের তথ্য গোপন রেখে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে।
আদালতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী অভিযোগ আনেন, তাকে তালাক দিয়ে সে তথ্য গোপন করেছেন তার স্বামী পাথালিয়া ইউপির আওয়ামী গের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন। এর পর ১৭ এপ্রিল থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছেন তিনি।
সর্বশেষ ৩ সেপ্টেম্বর রাতেও ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ।
তথ্যমতে, গত ১৭ এপ্রিল ভুক্তভোগীকে তালাক প্রদান করে মোয়াজ্জেম। কিন্তু তালাকের নোটিশ গোপন করে রীতিমতো তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করত সে।
২০১৮ সালে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে নয়ারহাট এলাকার চাকল গ্রামের এক নারীকে (২৪) বিয়ে করেন মোয়াজ্জেম হোসেন। বিয়ের পর ওই নারী নিজের বাড়িতে থেকেই মোয়াজ্জেমের সঙ্গে ঘরসংসার করতেন। ৫ মাস আগে তাকে তালাক দিয়ে বিষয়টি গোপন রেখে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ৫ মাস শারীরিক সম্পর্ক করত ।
৬ সেপ্টেম্বর মোয়াজ্জেমের বাড়িতে ভরণ-পোষণের খরচ চাইতে যান ভুক্তভোগী। তখন ভুক্তভোগীকে তালাকের কাগজ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন তোকে অনেক আগেই তালাক দেওয়া হয়েছে। তালাকের কাগজ হাতে পেয়ে ওই নারী প্রথমে আশুলিয়া থানায় মামলা করতে আসেন।
আশুলিয়া থানা কর্তৃপক্ষ তাকে নারী ও শিশু আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী।
আদালতের নির্দেশ পেয়ে আশুলিয়া থানা মামলাটি রজু করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সবুর খান বলেন, সে এখনো মামলার কাগজ হাতে পায়নি। মামলার কাগজ পাওয়ার পর ব্যাপারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো যাবে।