জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশা গায়ে লাগা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর গ্রামের বারঘরিয়া গোষ্ঠীর মুন্সি বাড়িতে ওয়াজ মাহফিল হয়। এতে রাস্তা রাস্তার ওপর কিছু দোকানপাট বসে। এ রাস্তায় দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রাসেলের পক্ষের এক ব্যক্তি অটোরিকশা নিয়ে যেতে চাইলে ইউপি সদস্য মো. মিজানের পক্ষের একজনের গায়ে লাগে। এ নিয়ে কথা কথা কাটাকাটির জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
পুলিশ জানায়, আহতদের মধ্যে একজন সদর হাসপাতালে ও অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. মিজান মিয়া বলেন, ‘রাতের ঘটনা মীমাংসার কথা বলে চেয়ারম্যান আমাকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। তার সামনেই লোকজন আমাকে পিটিয়ে আহত করেছেন।’
একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার রাতের ঘটনার জেরে সকালে আবার সংঘর্ষ হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।’
এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি বলেন, ‘আপাতত সংঘর্ষ বন্ধ করা হয়েছে। স্থানীয়দের নিয়ে বসে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। তারা আমাদের নির্দেশনা অমান্য করলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজাদ রহমান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।’