আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাটি কেটে কুয়োর মধ্যে চলছিল পোড়ামাটির পাট বসানোর কাজ। প্রায় ২৫ ফুট নিচে নেমে সেই কাজ করছিলেন বাপ্পা বিশ্বাস। হঠাৎই ধস নেমে একেবারে নিচে চাপা পড়ে যান পঁচিশ বছরের ওই যুবক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় আধা ঘণ্টা মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিলেন ওই যুবক। পরে সবার চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মাটির নিচে এতক্ষণ চাপা থাকার পরও অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে ফেরার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার নতুন বুইচা এলাকায়। বাপ্পা বিশ্বাসের বাড়ি ফুলিয়ার খামারপাড়ার অরবিন্দপল্লিতে। বছর তিনেক ধরে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। প্রথমে শরীরিক অবস্থা খারাপ থাকলেও এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক।
জানা যায়, ফুলিয়ার বালির গর্তের কাছে নতুন বুইচা এলাকার জয়ন্ত রায়ের বাড়িতে বাপ্পা অন্যদের সঙ্গে কুয়ো কাটার কাজ পেয়েছিল। মাটি কেটে প্রায় ২৫ ফুট গর্ত করে তার মধ্যে পোড়ামাটির পাট বসানোর কাজ চলছিল। পাশাপাশি একই ধরনের দু’টো কুয়ো কাটা হয়। যদিও একটি কুয়োর মধ্যে পাট বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছিল। পাশের অন্যটিতে মাটি কেটে গর্ত করার পর নিচে থেকে পাট বসানোর কাজ করছিলেন বাপ্পা। হঠাৎই ধস নামে, এতে মাটির নিচে সম্পূর্ণ চাপা পড়ে যান বাপ্পা।
বাড়ির মালিক জয়ন্ত রায় বলেন, ‘আমি পানি আনতে এসে দেখি, কুয়োর কাজ যারা করছিল, তাদের মধ্যে দু-তিনজন চিৎকার শুরু করেছে। আমার চোখের সামনে আরও কয়েকবার ধস নামে। মাটির নিচে প্রায় আধাঘণ্টা চাপা পড়েছিল ওই যুবক। এরপর অন্য শ্রমিকরা পাশ দিয়ে মাটি কেটে নিচে ঢুকে উদ্ধার করে আনে ওকে।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে শান্তিপুর থানায় ফোন করে খবর দিয়েছিলাম। সেখান থেকে খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। যদিও ততক্ষণে ওই যুবকের সঙ্গীরাই তাকে উদ্ধার করে উপরে নিয়ে আসে।’
বাপ্পার মামা মানিক সরকার বলেন, ‘আমার ভাগ্নের সঙ্গে যারা কাজ করছিল, তাদের চেষ্টাতেই বাপ্পা ফিরে এসেছে। ওরাই পাশ দিয়ে মাটি কেটে আমার ভাগ্নেকে উদ্ধার করেছে। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে।’
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।