সুনামগঞ্জ দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের পুরাতন কর্ণগাঁও গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। ১২ বছর বয়সে চোখে ব্যথা থেকে ধীরে ধীরে বাম চোখের আলো হারান তিনি।
কয়েকবছর পর আবার চোখে ব্যথা শুরু হয়। এতে ধীরে ধীরে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যান মৃত্যুঞ্জয়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি তিনি।
দরিদ্রতার কারণে চোখ হারালেও জীবনযুদ্ধে হার মানেননি মৃত্যুঞ্জয়। চোখে দেখতে না পেলেও হাতের কাজ করে সংসারের হাল ধরেছেন তিনি। নিপুণ হাতে তৈরি করছেন কুলা, চাটাই, মাছ শিকারের খলই সহ বাঁশ ও বেতের নানান জিনিস।
বছরখানেক আগে বিয়েও করেছেন মৃত্যুঞ্জয়। স্ত্রী, ছোট ভাই আর বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে তার সংসার এখন। মূলধনের অভাবে দোকান দিতে না পেরে বাড়ি থেকেই নিজের তৈরি জিনিসপত্র কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে।
কারুশিল্পী মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, একটি দোকান না থাকার কারণে তিনি পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। নিজের প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে তিনি সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে তাকে ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।
সুনামগঞ্জের সমাজ সেবা কর্মকর্তা সূচিত্র রায় জানান, মৃত্যুঞ্জয়ের মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষদের সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে তার প্রতিষ্ঠান।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা মানেই ভিক্ষাবৃত্তি নয় বরং নিজের ইচ্ছা ও কাজ করার মানসিকতা থাকলে সাবলম্বী হওয়া যায়- তারই উদাহরণ হতে পারেন মৃত্যুঞ্জয়।