,

কোটালীপাড়ায় অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

কোটালীপাড়া প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ৭টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তিনি গাছ কেটে বিক্রি করতে চাইলে বাধা দেন এলাকাবাসী। এখন এসব গাছ বিদ্যালয়ের মাঠেই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় পাঁচজন জানান, সম্প্রতি বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বন বিভাগের অনুমতি না নিয়ে বিদ্যালয়ের বড় ৫টি মেহগনি ও ২টি রেইনট্রি গাছ বিক্রির জন্য কর্তন করেন। এসব গাছের আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকা। গাছগুলো কর্তনের পরে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশ্য টের পেয়ে তা বিক্রিতে বাধা প্রদান করেন। এলাকাবাসীর বাধার মুখে প্রধান শিক্ষক এসব গাছ বিক্রি করতে ব্যর্থ হন। এখন গাছগুলো বিদ্যালয়ের মাঠেই নষ্ট হচ্ছে।

অভিভাবক আনন্দমোহন বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ের গাছগুলো কোনোভাবেই ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল না। প্রধান শিক্ষক বন বিভাগের অনুমতি না নিয়েই অযথা গাছগুলো কেটে গোপনে বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ফুঁসে ওঠেন। এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে প্রধান শিক্ষক গাছগুলো বিক্রি করতে পারেননি। এখন নিজে বাঁচতে গাছগুলো বিদ্যালয়ের হোস্টেলের কাজে ব্যবহার করা হবে বলে প্রচার করছেন।

প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বন বিভাগের অনুমোদন না নিয়েই গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, এ গাছগুলোর কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সমস্যা হচ্ছিল। তাই তাদের খেলার মাঠ ঠিক রাখতে গাছ কাটা হয়েছে। গাছগুলো বিক্রির টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। স্থানীয়রা গাছ বিক্রিতে বাধা দেয়। তাই কেটে ফেলা গাছগুলো বিদ্যালয়ের হোস্টেলের কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কোটালীপাড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা বিবেকানন্দ মল্লিক বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হয়। বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে গাছ কাটতে কোনো অনুমতি নেননি। অনুমতি না নিয়ে গাছ কেটে প্রধান শিক্ষক আইন ভঙ্গ করেছেন। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর