,

‘দুপক্ষের দ্বন্দ্ব’; ম্যানেজিং কমিটি হচ্ছে না ৫ বছর

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: স্থানীয় দু’গ্রুপের দ্বন্দের কারণে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাহুথড় উদয়ন বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি হচ্ছে না। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন কাজ। সেই সাথে বেতন বিল পেতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদের। তবে কমিটি না হওয়ার মূল কারণ কমলেশ ঘোষ ও ডা. তপন মজুমদারের দ্বন্দ্বকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, ১৯৪১ সালে বিল অধ্যুষিত রাহুথড় গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু বর্তমান এলাকার দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘ ৫ বছর নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি হচ্ছে না। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এবার ৫৭ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে মাত্র একজন এ প্লাস পেয়েছে। ২০১৮ সালে সর্বশেষ ম্যানেজিং কমিটি ছিল। এরপর থেকে একের পর এক এডহক কমিটি দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। ভেঙে পড়েছে বিদ্যালয়ের নিয়মশৃঙ্খলা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছামতো চালাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি ১৪ গ্রামের লোকজন বিদ্যালয়ে জড়ো হয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জোর দাবি জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিভাবক বলাই সরকার বলেন, ‘কমিটি থাকাকালে বিদ্যালয়টি নিয়মের মধ্যে ছিল। কিন্তু বর্তমান কোন নিয়মনীতি ও জবাবদিহিতা নেই। অভিভাবকদের সাথে আলোচনা না করে বিদ্যালয়ে সব কিছু করা হয়। কমিটি করার কথা বলে তালবাহানা করছেন প্রধান শিক্ষক। নিয়মিত কমিটি করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।’

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এডহক কমিটি করার জন্য তিন মাস আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অর্ডার পেয়েছি। তবে নিয়মিত কমিটির ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন সংসদ নির্বাচনের পর করতে। কারণে এখন এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এখানে চাকরি করতে হলে তো তাদের কথা শুনতে হয়। এলাকার দুপক্ষেরই চাপ রয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এতে একটি পক্ষ আমাকে উচ্চ আদালত থেকে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে’

-লিয়াকত হোসেন লিংকন

 

এই বিভাগের আরও খবর