,

জন্ম নিবন্ধন: শর্তে রাজি থাকলে ৩শ টাকা

জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল: নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধনের ভুল সংশোধন করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এমন অতিরিক্ত অর্থ দাবির কারণে বেকায়দায় পড়েছেন মুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
অভিযোগ উঠেছে, সনদ দিতে সরকারি ফির চেয়েও অধিক টাকা নেওয়া হচ্ছে। বেপরোয়া অর্থ আদায় ও ইচ্ছা করে সময় ক্ষেপণের কারণে সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জন্ম নিবন্ধন করতে আসা ব্যক্তিদের কাগজপত্র নিয়ে তা বিনা খরচে নিবন্ধন প্রক্রিয়া করে দেওয়ার কথা। তবে কোথাও কোনো মেইল পাঠানো, প্রিন্ট কিংবা কম্পোজ প্রয়োজন হলে সামান্য টাকা সংশ্লিষ্টরা নিতে পারবেন। অথচ মুলিয়া ইউনিয়নে কর্মরত উদ্যোক্তা প্রশান্ত বিশ্বাসের নিকট জন্ম নিবন্ধন করতে কাগজাদি জমা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা দাবি করছেন। প্রতিটি জন্ম নিবন্ধনে নেওয়া হচ্ছে ৩শ  থেকে ৫শ টাকা। চাহিদামতো টাকা না দিলে সোজা ‘ডিসি অফিস’ দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া সাফ বলে দেওয়া হচ্ছে, ‘এটা কবে দেব ঠিক নেই। দুই মাস বা দুই বছরও লাগতে পারে। শর্তে রাজি থাকলে ৩শ টাকাসহ কাগজপত্র দিয়ে যান।’
জানা যায়, জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ১০০ টাকা ও জন্ম তারিখ ব্যতীত পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংশোধনের পর সনদের কপি বিনা টাকায় সরবরাহের কথাও বলা হয়েছে। তবে প্রশান্ত বিশ্বাস অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
সেবা নিতে আসা ওই ইউনিয়নের শিল্পী কবিরাজ অভিযোগ করে বলেন, আমার সন্তান এবং আমার জন্ম সনদ সংশোধনের জন্য মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিলাম। ইংরেজি সংশোধনের জন্য তারা আমার কাছ থেকে ৬০০ টাকা নিয়েছে। এ ছাড়া বাবা-মায়ের নাম ও জন্ম তারিখের দুই জায়গায় ভুল থাকায় আরও ৩০০ টাকা নিয়েছে।
অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ‘আমি একেবারেই এ বিষয়টি জানি না। কেউ আমার নিকট অভিযোগও  করেননি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর


Antalya korsan taksiAntalya korsan taksi