,

ক্ষুধা-অত্যাচার সইতে না পেরে থানায় বৃদ্ধা

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ছেবাতন বেওয়া ছেলের জন্মগ্রহণে ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন সন্তানকে নিয়ে। ভেবেছিলেন তার একটা অবলম্বন হলো। যাকে আঁকড়ে তিনি জীবনটা পার করে দিতে পারবেন।

প্রায় ১৫ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন সত্তর বছর বয়সী ছেবাতন বেওয়ার। সেই থেকে ছেলের সংসারে আছেন তিনি। কিন্তু সেখানে ঠিকমতো খাবার জোটে না, মেলে না চিকিৎসা, ওষুধ-পথ্য।

অন্যের দেওয়া যাকাতের কাপড়ে বছর পার হয় ছেবাতনের। খাবার চাইলে জোটে নানা কটু কথা। তবুও উপায় না থাকায় ছেলের বউয়ের দয়ায় সেখানে থাকেন তিনি। কিন্তু আর সহ্য করতে পারছিলেন না।

কাজিপুরের সোনামুখী ইউনিয়নের স্থলবাড়ী গ্রামের ছেবাতন বেওয়া ক্ষুধার জ্বালা, ছেলে ও ছেলের বউয়ের অত্যাচার সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে লাঠিতে ভর করে কাজীপুর থানায় হাজির হন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত বৃদ্ধাকে দেখে এগিয়ে আসেন। তাকে নিজের কক্ষে নিয়ে বসান। খাবার খাওয়ান। পরে বৃদ্ধার কাছে শোনেন ক্ষুধার তাড়না এবং তার ওপর হওয়া অত্যাচারের গল্প। বৃদ্ধার বিবরণ শুনে অশ্রুসিক্ত হন ওসি। ছেবাতনকে দেন শাড়ি আর অর্থ সহায়তা।

ওসি পুলিশ সদস্যের সঙ্গে বৃদ্ধাকে তার বাড়ি পৌঁছে দেন। ছেলে আসাদুল ইসলাম এবং ছেলের বউ চুম্বলী খাতুনকে সতর্ক করা হয়। তারাও বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে আর খারাপ আচরণ করবে না এবং তাকে ভাত-কাপড়ের কষ্ট দেবে না বলে কথা দেন।

ওসি শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, বৃদ্ধার কথা শুনে কষ্ট পেয়েছেন। এই বয়সেও ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে হয় তাকে। ছেলে ও ছেলের বউকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর


Antalya korsan taksiAntalya korsan taksi