,

কাশিয়ানীতে ‘যাত্রীবেশে’ বাস ডাকাতি, কেড়ে নিল সর্বস্ব

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কোটালীপাড়াগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাসে যাত্রীবেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় অস্ত্রধারী ডাকাতদল যাত্রীদের মারধর ও জিম্মি করে মালামাল, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার এবং নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

রোববার (২৯ মে) রাত সোয়া ১০ টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ধুসর বটতলা এলাকায় বাসটি রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।

কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাস্তায় হট্টগোল শুনে দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে শুনে বাস ডাকাতির ঘটনা জানতে পারে। ২১ জন যাত্রী নিয়ে স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাস বিকালে ঢাকার গাবতলী থেকে কোটালীপাড়ার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাত্রী নামিয়ে কিছুদুর ছেঁড়ে আসার পর যাত্রীবেশে বাসটিতে থাকা সাতজনের একটি ডাকাতদল ক্ষুর, চাকুসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসের চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে মালামাল, নগদ টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর ধুসর বটতলা এলাকায় যাত্রীসহ বাসটি রেখে পালিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাসে থাকা সকল যাত্রীদের মোবাইল নাম্বার ও ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের মোবাইল নাম্বারে কল করলে নাম্বারগুলো বন্ধ পাই। ডাকাতির সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’

বাসচালক মোহাম্মাদ আলী বলেন, ‘ভাঙ্গায় যাত্রী নামিয়ে বাস চালাতেই পিছন থেকে ডাকাতরা এসে আমার গলা চেপে ধরে উচু করে ফেলে। আমাকে ইঞ্জিন কভারে টেনে তুলে তারা বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোনে কেড়ে নিয়ে আমাকে বাসের পিছনের সিটে বসিয়ে রাখে।’

বাসযাত্রী বিকেএসপির কর্মচারী আব্দুল্লাহ বিন ওবায়েদ বলেন, ‘আমি নবীনগর কাউন্টার থেকে বিকাল ৫টায় বাসে উঠি। বাস ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে হঠাৎ করে বাসের মধ্যে থাকা ৫/৬ জন লোক অস্ত্র দেখিয়ে চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। এরপর বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর তিনজন লোক আমাদের কাছে থাকা জিনিসপত্র ও টাকা, স্বর্ণালংকার কেড়ে নিয়ে ধুসর এলাকায় এসে তারা বাস থেকে নেমে যায়।’

মহিলা বাসযাত্রী সুবর্ণ দেবনাথ বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ডাকাতরা এসে বলে কাছে যা যা আসে দিয়ে দে। এক পর্যায়ে আমার কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার জন্য অনেক জবরদস্তি করে। পরে আমি খুলে দিতে বাধ্য হই। আমার কাছে থাকা নগদ ৭ হাজার ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।’

-লিয়াকত হোসেন লিংকন

এই বিভাগের আরও খবর