,

উপার্জনের শেষ সম্বল হারিয়ে বাকরুদ্ধ যুবক

জেলা প্রতিনিধি, ভোলা: তিন বছর ধরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন ভোলার লালমোহনের মিরাজ হোসেন। এত দিন অন্যের রিকশা ভাড়া নিয়ে চালালেও গত দুই মাস আগে তিনি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এক লাখ টাকায় একটি ব্যাটারি চালিত রিকশা কেনেন।  r

বুধবার রাতে মলম পার্টির খপ্পরে উপার্জনের শেষ সম্বল খুইয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই রিকশাচালক।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাতে যাত্রী সেজে লালমোহনের চৌরাস্তার মোড় থেকে দেবিরচর বাজারে যাওয়ার কথা বলে দুই ব্যক্তি মিরাজের রিকশাতে ওঠেন। পথিমধ্যে পেছন থেকে চালক মিরাজের চোখে মলম লাগিয়ে রিকশাটি নিয়ে যায় তাঁরা। এ সময় মিরাজের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনও নিয়ে যায় মলম পার্টির সদস্যরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমোহন থানা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায় উপার্জনের শেষ সম্বল হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছেন রিকশাচালক যুবক মিরাজ হোসেন। মিরাজ বলেন, ‘পরিবারে বাবা-মাসহ আমরা ৫ সদস্য। বড় ভাই বিয়ে করে এখন আর আমাদের খোঁজ নেন না। আমি সেই ১৭ বছর বয়স থেকে রিকশা চালিয়ে সংসারের হাল ধরি। অনেক বছর ভাড়ায় চালালেও গত দুই মাস আগে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি রিকশা কিনি। সেই রিকশা মলম পার্টি নিয়ে গেছে। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে কি করে চলব আর ঋণের টাকাই বা কীভাবে শোধ করব, কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। রিকশা ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ করেছি। রিকশা ফিরে পেতে এখন থানায় এসে বসে আছি।’

লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘রিকশাচালক মিরাজ এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’

এই বিভাগের আরও খবর


Antalya korsan taksiAntalya korsan taksi