জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ: জেলা ভিত্তিক প্রথমবারের মতো ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক নিচ্ছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) গোপালগঞ্জ সার্কেল।
এতে সেবাপ্রার্থীদের মধ্যে যেমন বিআরটিএর প্রতি আস্থা বেড়েছে তেমনি ভোগান্তিও লাঘব হয়েছে। বায়োমেট্রিকের জন্য আর দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না
সেবাপ্রার্থীদের। কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সেবাপ্রার্থীরা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারী থেকে গোপালগঞ্জ সার্কেলে পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া বায়োমেট্রিক নেওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে উত্তীর্ণদের মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের তারিখ।
এদিন, বিআরটিএ গোপালগঞ্জ কার্যলয়ে সশরীরে প্রার্থীকে উপস্থিত হয়ে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে।
জানা যায়, একজন সেবাপ্রার্থী কে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কিছুদিন আগেও পোহাতে হতো নানা ভোগান্তি। বায়োমেট্রিকের জন্য মাসের পর মাস ঘুরতে হতো বিআরটিএ কার্যালয়ে। সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে গত বছরে পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক নেওয়ার উদ্যোগ নেয় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরে ১৭ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় এ কার্যক্রম। প্রথমে বিভাগীয় সার্কেলগুলোতে শুরু হলেও জেলা পর্যায়ে প্রথমবারের মতো গোপালগঞ্জ সার্কেলে শুরু হলো এ কার্যক্রম। এতে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ যেমন লাগব হয়েছে। তেমনি কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে বায়োমেট্রিক দিতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আগে আমাদের বায়োমেট্রিকের জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো কিন্তু এখন পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক দিতে পারছি। এতে আমাদের আর মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে না। সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারছি। এছাড়া মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো কবে, কিভাবে আমরা লাইসেন্স পাব। নির্ধারিত তারিখে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারবো। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ কে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
বিআরটিএ গোপালগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) লায়লাতুল মাওয়া বলেন, ‘জেলা পর্যায়ের সার্কেলে আমাদের গোপালগঞ্জেই প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে পরীক্ষার দিন বায়োমেট্রিক নেওয়া। আমরাই প্রথম শুরু করেছি। এতে করে সাধারণ মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে। আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে একজন সেবাপ্রার্থীও যেন বিআরটিএ কার্যলায়ে এসে দুর্ভোগ না পোহায়। প্রথমদিন প্রায় ৫ শতাধিক সেবাপ্রার্থী পরীক্ষার দিন বায়োমেট্রিক প্রদান করেছেন। বায়োমেট্রিক দেওয়া শেষে অনেক পরীক্ষার্থী এমন উদ্যোগের জন্য বিআরটিএকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’