জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খাল পাড়ে রাস্তার দু’পাশে মাটির স্তুপ। দেখে যে কারও মনে হবে ভেকু দিয়ে খাল খনন করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তা নয়; রাস্তা সংস্কারে জন্য রাস্তা ঘেঁষে খাল থেকে মাটি তুলে স্তুপ করে রাখা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের বিদ্যাধর এলাকায় এলজিইডির রাস্তা সংস্কারে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পাউবোর খাল থেকে মাটি তোলার অভিযোগ উঠেছে।
এতে বর্ষাকালে রাস্তা ধসে খালের মধ্যে গিয়ে পড়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে কাশিয়ানী উপজেলার দেবাশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গোপালগঞ্জ সদরের নিজড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তার পিচের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আওতায় কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কামরুল এন্ড ব্রাদার্স।
স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ উদ্দিন খসরু বলেন, ঠিকাদার রাস্তার পাশ ঘেঁষে পাউবোর খাল থেকে ভেকু দিয়ে মাটি তুলে রাস্তায় দিচ্ছেন। এতে রাস্তা ধসে আবার খালের মধ্যে চলে যাবে। এলাকাবাসী ঠিকাদারের লোকজনকে রাস্তা ঘেঁষে খাল থেকে মাটি তুলতে নিষেধ করলেও তা শুনছেন না তারা।
মো. মাসুম আলী খান বলেন, ‘রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার করায় এলাকার মানুষ খুব উপকৃত হবেন। কিন্তু রাস্তার ঠিক পূর্বপাশ ও পশ্চিমপাশের খাল থেকে মাটি তোলায় বর্ষাকালে রাস্তাটি আবার ধসে খালে চলে যাবে।’
ঠিকাদার মো. মেহেদী হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি খাল থেকে মাটি তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘খালের মাঝ থেকে মাটি তোলা হচ্ছে। এতে রাস্তার কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাটির জন্য যে টাকা বরাদ্দ, তাতে অন্যত্র থেকে মাটি এনে কাজ করা সম্ভব না। এমনিতেই কাজটি করে অনেক লোকসান হবে।’
তদারকির দায়িত্বে থাকা কাশিয়ানী উপজেলা এলজিইডির উপসহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মাদ আলী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। মাটির জন্য ঠিকাদারকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রাস্তার পাশ থেকে মাটি তুললে তা বন্ধ করে দেয়া হবে।’
-লিয়াকত হোসেন লিংকন