লিয়াকত হোসেন লিংকন: করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বেসরকারি সেবামূলক সংস্থা (এনজিও)’র কোন তৎপরতা নেই। গৃহবন্দি মানুষের এই দুর্দিনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এগিয়ে এলেও একেবারে হাত গুটিয়ে বসে আছে এনজিওগুলো। তবে মানুষকে সচেতনতা করতে মাইকিং করেছে ব্র্যাক।
সংস্থাগুলোর স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ত্রাণ সহায়তার বিষয়ে প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের কাছে কোন নির্দেশনা না আসায় কিছুই করতে পারছেন না তারা। এতে করোনা দুর্গত মানুষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এসব এনজিওর ব্যাপারে সরকারিভাবে জরুরী নির্দেশনা দেয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, ব্যুরো বাংলাদেশ, সিএসএস, আরআরএফ, পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতি, টিএমএসএস, আরডিবি, প্রশিক্ষা, গণ উন্নয়ন প্রচেষ্টা, রিক, সিডিএস, এসডিসি, বাসাসহ বেশ কয়েকটি এনজিওর ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম রয়েছে। কিন্তু করোনায় মানুষ যখন অনাহারি ও অসহায় তখন হাত গুটিয়ে বসে আছে এসব এনজিও।
কাশিয়ানী এম, এ খালেক কলেজের অধ্যক্ষ কে, এম মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত কোন এনজিও এগিয়ে আসছে না।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কাশিয়ানী শাখা ব্যবস্থাপক উজ্জ্বল বলেন, ‘আমাদের হেড অফিস থেকে ত্রাণ বিতরণের কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে হেড অফিস থেকে আলাদা লোকের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
টিএমএসএসের কাশিয়ানী শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের অফিসেরই সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমরা এখন ছুটিতে রয়েছি। এছাড়া করোনার বিষয়ে ওপরের থেকে কোন ধরণের কোন নির্দেশনা পাইনি।’ সিএসএস, আশাসহ অন্যান্য এনজিওর শাখা ব্যবস্থাপকরাও একই কথা বলেছেন।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত কাশিয়ানীতে কোন এনজিও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে আমার জানা নেই। তবে ব্র্যাক করোনা সচেতনতায় মাইকিং করেছে।