গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের জলিরপাড়ে ভূমিহীন, নিঃস্ব ও নদীভাঙনে গৃহহারা মানুষের মাথা গোঁজার ঠিকানা গুচ্ছগ্রামে অবৈধভাবে বসবাস করার অভিযোগ রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া পরিবারের অনেকে গুচ্ছগ্রামের জায়গা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ফলে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পটি কতিপয় দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে।
এতে দুস্থদের আবাস গড়ে দেয়ার জন্য নেয়া গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের লাখ লাখ টাকার খাস জমি হাতছাড়া হওয়ার আশংকা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় গ্রামের পুলিন রায় নিজের নামে একটি ঘর ও জমি বরাদ্দ নেন। পরবর্তীতে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় একই গ্রামের অসীম দাস ও ইসমাইল ব্যাপারীর কাছে তা বিক্রি করে দেন। একইভাবে ওই গুচ্ছগ্রামের লক্ষ¥ীকান্ত রায়, মনিন্দ্র বালা, মালতী শীল, মদনী রায়সহ অনেকে জমি ও ঘর বরাদ্দ নিয়ে তা বিক্রি করে দিয়ে চলে গেছেন। আর এসব জমি ও ঘর কিনে সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছে কিছু অসাধু লোকেরা।
জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে উপজেলার জলিরপাড়ে ৬.১৬ একর খাস জায়গায় ভূমিহীনদের বসবাসের জন্য গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় ৪০টি পরিবারের জন্য জলিরপাড় গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প গড়ে তোলা হয়। কিন্তু সুবিধাভোগীদের কেউ কেউ এসব জমি ও ঘর বিক্রি করে চলে গেছে অন্যত্র। জমি ও ঘর হাতবদল হওয়ায় অসাধু প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পটি।
অবৈধভাবে বসবাসকারী বাকা মিয়া তালুকদার বলেন, ‘আমি টাকা দিয়ে জায়গা কিনে গুচ্ছগ্রামে বসবাস করছি। আমার মতো অনেকেই গুচ্ছগ্রামে জায়গা কিনে বসবাস করছে। আমি কিনলে দোষ কোথায়।’
জলিরপাড় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এস, এম রকিব উদ্দিন বলেন, ‘আমি সদ্য এখানে যোগদান করেছি, বিষয়টি আমার ভাল করে জানা নেই। তবে পূর্বের তহশীলদারের করা একটি তালিকায় বেশ কিছু অবৈধ বসবাসকারীর নাম দেখেছি।’
মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসমত হোসেন বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের জমি ও ঘর কেউ ভাড়া বা বিক্রি করতে পারবে না। কেউ অবৈধভাবে বসবাসও করতে পারবে না। কারও বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’